পাবনার ভাঙ্গুড়া থেকে এক নারী লিখিত অভিযোগ করেছেন ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোতালেব হোসেনসহ দলটির ছয় নেতার বিরুদ্ধে। তার অভিযোগ, বাড়ি নির্মাণের সময় তারা তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা চেয়েছে। টাকা না দেয়ায় তারা তার বাড়ি নির্মাণে বাঁধা দিয়েছে, পাশাপাশি শ্লীলতাহানির হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ মে দুপুরে ভাঙ্গুড়া থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করেন, তিনি নিজ জমিতে নতুন বাড়ি নির্মাণ শুরু করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে তাকে চাঁদার জন্য চাপ দেয়। প্রথমে ২০ হাজার টাকা দাবি করা হলেও পরে দাবি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। টাকা না দেওয়ায় তারা তার নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত করেছে এবং প্রকাশ্যে মানহানিকর ও অপমানজনক আচরণ করেছে।
ভুক্তভোগী জানান, “আমার স্বামী অসুস্থ। বাড়ি নির্মাণ শুরু করার পর থেকেই তারা চাঁদা দাবি করে আসছিল। শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এ ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজও আমার কাছে রয়েছে।”
অভিযোগে নাম উল্লেখ করা হয় ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোতালেব হোসেন (৫৩), মানিক হোসেন (৩৫), আকতার হোসেন (৫৫), মো. সরপু আলী (৪৫) ও আলাউদ্দিন (৪৫)-এর নাম।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভাঙ্গুড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, “ওই নারী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। অনেকবার তারা সমাধানের জন্য আমার কাছে এসেছেন, আমি চেষ্টা করেছি বিষয়টি মীমাংসা করতে। সম্প্রতি পৌরসভা থেকে ওই এলাকায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, “রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন পৌর কাউন্সিলর ছিলেন এবং লোকজনের মধ্যে সুনাম রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয় এলাকাবাসী এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। তারা বলেন, “রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করলে ভালো হতো। শালীন ও শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করলে স্থানীয় মানুষের উন্নয়ন সম্ভব হবে।”
চাঁদাবাজি ও হুমকির অভিযোগ নতুন নয়, তবে এসব অভিযোগ সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তায় বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে। রাজনৈতিক দলের নেতাদের উচিত জনগণের কল্যাণে কাজ করা, ব্যক্তি ও দলগত স্বার্থের উপরে দেশের সার্বিক শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা।
এ ঘটনায় দ্রুত এবং স্বচ্ছ তদন্ত ও যথাযথ বিচার দাবি করেছেন সাধারণ জনগণ।
সূত্র:যুগান্তর
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই- এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ
আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড