চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ ছিল শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক জমায়েত নয়—এটি হয়ে উঠেছিল একটি শক্তিশালী বার্তা, যেখানে দেশের তারকা ক্রীড়াবিদ এবং সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক তামিম ইকবাল খানের সরব উপস্থিতি নতুন মাত্রা যোগ করে।
শনিবার (১০ মে) বিকেলে এই ব্যতিক্রমধর্মী সমাবেশটি আয়োজন করে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। জনসমাগম, স্লোগান ও উপস্থিত নেতৃত্বের মাঝে তামিম ইকবালের আগমন রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে জোরালো আলোচনার জন্ম দেয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন তার ফেসবুক পোস্টে তামিমের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি লেখেন, ‘আজ পলোগ্রাউন্ডে বিকাল ৩টায় তারুণ্যের সমাবেশে স্বাগত জানাই বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ, বীর চট্টলার গর্বের সন্তান তামিম ইকবালকে।’
সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত বাস ও ট্রাকে নেতাকর্মীরা পলোগ্রাউন্ডমুখী হন। কক্সবাজার, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ আশপাশের অঞ্চল থেকে আগত গাড়িগুলো লালখান বাজার হয়ে সিআরবি দিয়ে মাঠে প্রবেশ করে। প্রতিটি বাস ছিল কর্মী-সমর্থকে ঠাসা। নগরীর প্রায় সব পথ যেন সেই মুহূর্তে একটাই গন্তব্য চিনে নেয়—পলোগ্রাউন্ড।
তামিম ইকবালের উপস্থিতিকে কেউ দেখছেন ব্যক্তিগত সমর্থন হিসেবে, কেউবা রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পূর্বাভাস হিসেবেও ব্যাখ্যা করছেন। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে তার রাজনৈতিক মঞ্চে এমন সরব উপস্থিতি তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক আগ্রহ ও আলোচনা জাগাতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এ ধরনের অংশগ্রহণ বিরল হলেও এটি বোঝাচ্ছে—জনপ্রিয়তা, তরুণ নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক বার্তার মধ্যে এখন আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠছে। ফলে তামিম ইকবালের এই উপস্থিতি নিছক অতিথি হয়ে থাকা নয়, বরং একটি ‘পলিটিক্যাল সিগন্যাল’ হিসেবেই বিবেচিত হতে পারে।
সূত্র:কালবেলা
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ