মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের একটি স্কুলে দেশটির জান্তা সরকারের বিমান হামলায় ২০ শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ঘোষিত মানবিক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে, যা নতুন করে দেশটির সামরিক শাসনের নিষ্ঠুরতা তুলে ধরেছে।
সোমবার (১৩ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় থেইন কুইন নামক গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই বিমান হামলা চালানো হয়। স্কুলটি মার্চ মাসের ২৮ তারিখের ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
এক প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষক বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছিলাম শিশুদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে, কিন্তু যুদ্ধবিমানটি খুব দ্রুত বোমা নিক্ষেপ করে।” হামলার সময় শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করছিল বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলায় স্কুল ভবনটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ছিন্নভিন্ন ধাতব ছাদ, ভাঙা ইটের দেয়াল এবং চারপাশে ছড়িয়ে থাকা স্কুলব্যাগ – দৃশ্যটি ছিল মর্মান্তিক।
এ হামলার পর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, “তিনি এ ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। স্কুলগুলো শিশুদের জন্য নিরাপদ স্থান হওয়া উচিত, বোমার লক্ষ্য নয়।”
তবে মিয়ানমারের সামরিক সরকার এ হামলার দায় অস্বীকার করে বলেছে, “বেসামরিক স্থাপনায় কোনো বিমান হামলা চালানো হয়নি, এই প্রতিবেদন ভিত্তিহীন।”
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। জান্তা বাহিনী ও বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, শুধু ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়েই মিয়ানমারে ২৪৩টি সামরিক হামলা সংঘটিত হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ১৭১টি ছিল বিমান হামলা। এসব হামলায় দুই শতাধিক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে আবারও মিয়ানমার বিষয়ে উদ্বেগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সূত্র:কালবেলা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই