অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্য কঠোর সমালোচনা করলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি অভিযোগ করেছেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারে এমন কিছু উপদেষ্টা রয়েছেন যারা একাত্তরের উত্তরাধিকার ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির প্রতিনিধি। এসব উপদেষ্টার অপতৎপরতায় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন বিভাজনের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুব সংগঠন 'বাংলাদেশ যুব মিশন'-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইরান বলেন:
“পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা করছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শিবিরে হানাহানি, বিভক্তি, দোষারোপের রাজনীতি ভর করছে। কিছু উপদেষ্টা বিভাজন তৈরিতে মদদ যুগিয়েছে।”
ড. ইরান দাবি করেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যে রাজনৈতিক ভারসাম্যহীনতা ও আদর্শিক বিচ্যুতি বিদ্যমান, তা ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের অন্তঃসারশূন্যতা তৈরি করছে। তিনি বলেন:
“লেবার পার্টি মনে করে, উপদেষ্টা পরিষদে রাজনৈতিক আন্দোলনের রাজপথের শক্তিগুলোর প্রতিনিধিত্ব জরুরি। সর্বদলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুনর্গঠন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হবে।”
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী প্রধান উপদেষ্টা করে নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠিত হয়। কিন্তু সেই বিপ্লব-পরবর্তী ধাপে যে রাজনৈতিক ঐক্য ও শুদ্ধতার প্রত্যাশা ছিল, তা আজ চ্যালেঞ্জের মুখে, বলেই মনে করছে বিশ্লেষক মহল।
ড. ইরান বলেন:
“আওয়ামী লীগের কিছু নেতা পালিয়েছে, কেউ কেউ ধরা পড়েছে। কিন্তু প্রশাসনের ভেতরে থাকা দোসররা ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।”
লেবার পার্টি চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সরাসরি আহ্বান জানিয়ে বলেন:
“দেশপ্রেমিক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সকল রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে সর্বদলীয় সংলাপের মাধ্যমে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিন। বিভাজন এখন প্রতিরোধ না করলে, বিপ্লব হাতছাড়া হবে।”
এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, একটি নিরপেক্ষ ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ গঠনের দাবি ধীরে ধীরে নানা রাজনৈতিক শিবির থেকে উঠে আসছে।
“বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাগো যুব জাগো” শ্লোগান নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো বাংলাদেশ যুব মিশন। আহ্বায়ক হিসাবে সালমান খান বাদশা ও সদস্য সচিব হিসেবে মোঃ মাহমুদুল হাসান জাবেরের নাম ঘোষণা করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির নেতৃবৃন্দসহ ১৩টি যুব সংগঠনের প্রতিনিধি, যা ভবিষ্যতের বিকল্প রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরির একটি সূচনা হিসেবেও দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ড. ইউনূস সরকারের ভেতরে দ্বৈত রাজনৈতিক স্বর ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। একদিকে রয়েছে গণতান্ত্রিক চেতনার ধারক রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসমূহ, অন্যদিকে রয়েছে ব্যুরোক্রেটিক ও চরমপন্থী বলয়, যারা হয়তো ক্ষমতা রক্ষায় ব্যস্ত।
ড. ইরানের বক্তব্য সেই উদ্বেগকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাষা দিয়েছে — যদি উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন না হয়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই গণবিচ্ছিন্ন হতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ