আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে: জামায়াত নেতা অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, "আল্লাহর জমিনে চলবে শুধুমাত্র আল্লাহর আইন। নব রচিত মানব আইন কখনোই মানুষের মুক্তির উপায় হতে পারে না। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি, তাই তার জীবন পরিচালিত হওয়া উচিত আল্লাহর বিধানের মাধ্যমে।"

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট জেলা জামায়াত আয়োজিত ‘রুকন শিক্ষা শিবির ২০২৫’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি অনুষ্ঠিত হয় শহরের দশানী ট্রাফিক মোড়ের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মানে হলো—আল্লাহ ছাড়া কারো আইন মানি না। সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ। অথচ এই ইসলামি মূলনীতি জামায়াতের গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত থাকার কারণে আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছে। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই—জামায়াতের নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক ফিরিয়ে দিন।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা সেক্রেটারি শেখ মো. ইউনুস।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন:

জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা মশিউর রহমান খান

খুলনা মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, “জামায়াত ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। রুকনদের আদর্শিক নেতৃত্ব দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।”

মাওলানা মশিউর রহমান খান বলেন, “আনুগত্য ও শৃঙ্খলাই ইসলামী আন্দোলনের প্রাণ। সাহাবায়ে কিরামের মতো রুকনদেরকেও শৃঙ্খলায় অবিচল থাকতে হবে।”

অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “ইসলামী আন্দোলন মানেই ত্যাগ ও কুরবানির ইতিহাস। শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে রুকনদের প্রস্তুত থাকতে হবে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য।”

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য—আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করা। আদর্শিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনে রুকনদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। একটি পরিশুদ্ধ, আদর্শিক ও ত্যাগী কর্মীবাহিনীই এই দেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম।”

অনুষ্ঠানে জেলা জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ রুকন ও কর্মীবাহিনীর বিপুল অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।