নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন,
“সংস্কারের নামে যারা আজকে নির্বাচনের বিপক্ষে বলছেন, বলেন—বলার অধিকার আপনাদের আছে। কিন্তু এ নির্বাচন নিয়ে জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করা যাবে না।”
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির উদ্যোগে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সামনে এ আয়োজন হয়।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন,
“যেকোনো মূল্যে দেশে একটি রাজনৈতিক ও নির্বাচিত সরকার আসা উচিত। তাহলে দেশের মানুষ কিছুটা নিরাপত্তা পাবে এবং বিশৃঙ্খলা থেকে রক্ষা পাবে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে আশঙ্কাপ্রকাশকারী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,
“অন্যান্য রাজনৈতিক ভাইয়েরা আশঙ্কায় আছেন—নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিএনপি তো আগেও ৩-৪ বার ক্ষমতায় ছিল। জনগণ যদি আপনাদের ভোট দেয়, আমরা তা মেনে নেব।”
এ সময় তিনি অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের এক গবেষণার বরাত দিয়ে বলেন,
“বর্তমান সরকারের ৯ মাসে সংস্কারের নামে এদেশের ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কাতারে চলে গেছেন। এর মধ্যে ১৮ লাখ নারী।”
এ বক্তব্যের মাধ্যমে মির্জা আব্বাস সরকারের সংস্কারমূলক কর্মসূচির মানবিক ব্যর্থতা এবং তার প্রভাব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সদস্য সোহরাব আমীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বাণিজ্যিক বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির চেয়ারম্যান, ঢাকা-৫ বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইমরান আহম্মেদ রাসেল, সদস্য আনোয়ার হোসেন সরকার, যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সোহেল মাহমুদ প্রমুখ।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ