ইরানে মার্কিন সামরিক হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। পারস্য উপসাগরের মুখে অবস্থিত কৌশলগত হরমুজ প্রণালী ঘিরে সৃষ্ট সংকট বিশ্বজুড়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
ইরানি পার্লামেন্ট ইতোমধ্যে এই প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যার পরিণতিতে তেলবাহী জাহাজ চলাচল ঝুঁকিতে পড়েছে। মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, বিশাল আকারের দুটি ট্যাংকার—‘কোসইউসডম লেক’ ও ‘সাউথ লয়্যালটি’—প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল বহনে সক্ষম হলেও হরমুজে প্রবেশের পর ইউটার্ন করে নিরাপদ রুটে ফিরে গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনার ফলে বৈশ্বিক তেলবাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে এবং বিকল্প পরিবহন রুট নিয়ে নতুন করে চিন্তা শুরু করতে হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতিকে।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন,
"আমি চীন সরকারকে আহ্বান জানাবো—তারা যেন ইরানকে ফোন করে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে। কারণ চীন হরমুজ প্রণালী ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে।"
রুবিও আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,
"যদি ইরান সত্যিই হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে, তাহলে সেটা হবে এক ভয়াবহ ভুল। এটি ইরানের অর্থনৈতিক আত্মহননের শামিল।"
বিশ্বের প্রায় ২৫ শতাংশ জ্বালানি—তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস—এই প্রণালী দিয়েই পরিবাহিত হয়। এটি বন্ধ হয়ে গেলে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে চীন, ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো আমদানিনির্ভর দেশে। ফলে আকাশচুম্বী হয়ে উঠতে পারে জ্বালানির দাম, যা সরবরাহব্যবস্থায় বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন—পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে এটি বৈশ্বিক জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই