বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটির শীর্ষ ১৬ জন নেতা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে একযোগে পদত্যাগ করেছেন। রোববার (১৮ মে) রাত ৯টায় রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকারীদের অভিযোগ, জেলা ও মহানগর কমিটির কিছু শীর্ষ নেতা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতিতে জড়িত। এসব কর্মকাণ্ড সংগঠনের আদর্শের পরিপন্থী হওয়ায় তারা আর এই সংগঠনের অংশ থাকতে চান না।
সংগঠনের মহানগর কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব সিয়াম আহসান আয়ান বলেন, "মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখেছিল, কিন্তু আমরা সেই আস্থা রাখতে পারিনি। শীর্ষ নেতারা আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে এসে আন্দোলনে যোগ দেন, অথচ ক্ষমতা পেয়ে তারা নানা অপকর্মে লিপ্ত হন।" তিনি অভিযোগ করেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনে ৩০ জনের নিয়োগ নিয়ে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হয়েছে, মেলায় হাউজি জুয়ার আসর বসিয়ে ১৪ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়েছে।
জেলা কমিটির সদস্য মাহতাব হোসেন আবির বলেন, “বন্যার সময় তোলা ৮৭ হাজার টাকার ত্রাণ আত্মসাৎ করা হয়েছে।”
এর আগে ১৫ মে জেলা কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান লিওন দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করেছিলেন। পদত্যাগকারীরা দাবি করেন, যারা নিষ্ঠার সঙ্গে সংগঠনে কাজ করেছেন, তারাও এই অপকর্মের কলঙ্ক বহন করছেন, যা লজ্জাজনক ও অসম্মানজনক।
অন্যদিকে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংগঠনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ এবং মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি। তারা দাবি করেন, এটি ষড়যন্ত্র এবং প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ তোলা অনৈতিক।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর সংগঠনটি রংপুরে ১১২ সদস্যের মহানগর কমিটি ও ১৫৫ সদস্যের জেলা কমিটি ঘোষণা করে। তবে ঘোষণার ছয় মাসের মধ্যেই একাধিক অভিযোগে ভাঙনের মুখে পড়ল সংগঠনটি।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ