হাইকোর্ট জাতিসঙ্ঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনকে একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণের বিষয়ে রুল জারি করেছেন। বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন। আবেদনকারী ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন জাতিসঙ্ঘের এই প্রতিবেদনকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞানের উৎস, গবেষণা উপকরণ এবং প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সাধারণ মানুষের হত্যাকাণ্ড ও সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবিতে তানভীর আহমেদ একটি রিট দায়ের করেন। তখন হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই রুলের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন, আইন সংশোধন ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।
পরবর্তীতে জাতিসঙ্ঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে ১৪০০ জন হত্যার তথ্য, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, সহিংসতা ও বিচারহীনতার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। এই রিপোর্ট সংযুক্ত করে নতুন করে আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী।
আদালতে তিনি যুক্তি দেন, এই প্রতিবেদনটি তিনটি কারণে সংরক্ষণ করা জরুরি:
১. ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন জানতে পারে কী ঘটেছিল
২. এটি একটি প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণের প্রয়োজন
৩. গবেষণা ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর ব্যবহারিক গুরুত্ব রয়েছে
আদালত এ যুক্তি আমলে নিয়ে রুল জারি করেছে। এখন সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন সংরক্ষণের নির্দেশনা দেওয়া হবে না।
৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই- এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে
গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১০ জুলাই
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ
আদালত অবমাননার মামলা: শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড