অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে একটি “বিষ বলয়” গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া একাধিক পোস্টে তিনি দাবি করেন, এই বলয়টি একটি “কুৎসিত চক্রান্তের” মাধ্যমে সরকারের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি, সংশয় ও বিভাজন সৃষ্টি করছে — যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য এক গভীর হুমকি।
জুলকারনাইন বলেন,
“ড. ইউনূস তাঁর জীবনের সিংহভাগ অর্জন করেছেন নিজের শ্রম ও সততার মাধ্যমে। তিনি বরাবরই শিক্ষিত, সৎ ও বিশ্বস্ত মানুষদের ঘিরেই থাকতেন। কিন্তু সরকারপ্রধান হওয়ার পর এই চক্র তাঁকে ঘিরে ফেলেছে।”
এই বলয়কে তিনি আখ্যা দিয়েছেন “টক্সিক সার্কেল” হিসেবে — যা প্রভাব বিস্তার করছে ড. ইউনূসের সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণে।
জুলকারনাইনের মতে, এই বলয়টি মূলধারার রাজনীতিকে অকার্যকর করে তুলতে চায় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরেও বিভাজন সৃষ্টি করছে — যা দেশকে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন,
“এরা বিএনপি, জামায়াত এমনকি সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব নিয়েও প্রতিনিয়ত বিষোদগার করছে। এদের লক্ষ্য সব রাজনৈতিক শক্তিকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রযন্ত্রকে একধরণের আতঙ্ক-নির্ভর অবস্থা তৈরি করা।”
এই অবস্থাকে তিনি তুলনা করেছেন পূর্বতন “হাসিনা কাল্ট”-এর গুম-খুন নির্ভর ভয়ের রাজনীতির” সঙ্গে।
পরবর্তী এক পোস্টে তিনি এই চক্রের সদস্যদের নাম প্রকাশ করে বলেন,
“খলিল-ছোটন-শুভ্র-রিজওয়ানা-ফরহাদ মাজহার গং যদি অন্তর্বর্তী সরকারে প্রভাব বিস্তার করে চলেন, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।”
এই নামগুলো রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মহলে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য পরিচিত — বিশেষ করে আদর্শিক চাতুরতা, ষড়যন্ত্রমূলক চিন্তা এবং প্রতিক্রিয়াশীল জাতীয়তাবাদী প্রবণতার কারণে।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন,
“এই ডার্ক মাইন্ডেড লোকজনকে দূর করে, সৎ ও অরাজনৈতিক মানুষদের জায়গা দিতে হবে। তাহলেই দেশ ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হবে।”
এই প্রস্তাবে তিনি জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সিভিল সোসাইটি, নিরাপত্তা বাহিনী ও রাজনৈতিক দলসমূহকে আহ্বান জানিয়েছেন ঐক্য গড়তে।
শেষে তিনি জনগণকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখতে বলেন,
“আপনার দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও এর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখুন, তাঁরা আপনাদের নিরাপত্তা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
জুলকারনাইনের এই পোস্ট দুটি স্পষ্ট করে দেয় যে, ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার শুধু বাইরের রাজনৈতিক চাপে নয়, ভেতরের সিদ্ধান্ত-নির্মাণ বলয় থেকেও হুমকির সম্মুখীন। রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে এবং সুশাসনের মানদণ্ড বজায় না রেখে এই অন্তর্বর্তী সরকার টিকে থাকলে তা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পরিবর্তে নতুন ধরণের কর্তৃত্ববাদ বা বিভাজনের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে।
এটি সেই সময়, যখন প্রশ্ন উঠছে:
ড. ইউনূস আদৌ স্বচ্ছন্দে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, নাকি নেতৃত্ব তাকে পরিচালনা করছে?
বাংলাদেশ এখন একটি ইতিহাস-নির্ধারক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো একটি বিশ্বস্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিশ্চিত করা।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ