গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরাইলে পাঠানো হয়েছে অন্তত ৯৪০টি অস্ত্রবাহী বিমান ও জাহাজের চালান। এসব চালানে ছিল মারাত্মক বিস্ফোরক, সাঁজোয়া যান, ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা সামগ্রী এবং চিকিৎসা সরঞ্জামসহ ৯০ হাজার টনেরও বেশি সামরিক সরঞ্জাম। তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সি এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন একাধিক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সিএনএনের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তার মধ্যেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে যুদ্ধাপরাধ ও মানবিক সংকট সৃষ্টির অভিযোগ ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে, ফ্রান্স ও কানাডা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২৫ বছর পুরোনো বাণিজ্য চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, বাইরের চাপ তাদের নীতিকে পরিবর্তন করবে না। বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনের সমর্থন ছাড়া ইসরাইলের পক্ষে এতদূর এগোনো সম্ভব হতো না। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে, তবুও তেল আবিবের বিরুদ্ধে এখনো কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।
আন্তর্জাতিক আদালতে দায়ের হওয়া মামলাগুলো উপেক্ষা করে ইসরাইলের আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পাওয়া—এ দুটি বিষয়ই বিশ্বব্যাপী তীব্র বিতর্ক ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি শুধু গাজা নয়, গোটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই