গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে হামাসকে নিরস্ত্রীক করার পূর্বশর্ত প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতদিন ধরে যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের অস্ত্র সমর্পণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছিল, তবে হামাসের অনমনীয় অবস্থানের কারণে ট্রাম্প প্রশাসন এখন কৌশল পরিবর্তনের পথে হাঁটছে।
আল-আরাবি আল-জাদিদ-এর বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় যুক্ত থাকা সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন যুদ্ধবিরতির পূর্বশর্ত হিসেবে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ দাবি থেকে সরে আসতে প্রস্তুত। এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হলো ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে একটি কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছানো।
সূত্রগুলোর মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধি দল মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে চলমান আলোচনায় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলেছে। হামাসের সঙ্গে আপস করে হলেও যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, কারণ মার্কিন অভ্যন্তরীণ মহলে দিন দিন এই উপলব্ধি জোরালো হচ্ছে যে, গাজায় ইসরাইলি জিম্মিদের উদ্ধারে কোনো সামরিক পথ বাস্তবসম্মত নয়।
এছাড়াও, অভ্যন্তরীণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক মহলে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভূমিকা নিয়ে। তাদের মতে, নেতানিয়াহু কৌশলীভাবে মার্কিন সরকারের ওপর অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছেন, যা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাসের সামরিক অভিযানের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইল। প্রায় দুই মাস পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং হামাসের অবস্থান নিয়ে মতানৈক্যের কারণে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আবারও ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২,৭৪৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭,৬০০ জন আহত হয়েছেন। এই আক্রমণ কার্যত চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই