মাত্র চার দিন আগে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় স্বামী বিতান অধিকারীকে হারিয়েছেন সোহিনী অধিকারী। সন্তানসহ শোকস্তব্ধ এই নারী প্রশাসনের সহায়তায় কলকাতায় ফেরার পর থেকেই স্বামীর পরিবারের অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা ও দ্য উইক-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিতানের পরিবার সোহিনীকে 'বাংলাদেশি' আখ্যা দিয়ে তার অধিকার খর্বের চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি, সোহিনীর নামে স্বামীর মৃত্যুর পর শুরু হওয়া ‘ক্রাউড ফান্ডিং’-এ আপত্তি জানিয়ে তাঁকে সরকারি-বেসরকারি সাহায্য থেকেও বঞ্চিত করতে চাইছে পরিবারটি।
বিতানের ভাই বিভু অধিকারী দাবি করেছেন, সোহিনী ভারতের নাগরিক নন, তার জন্মসনদ ও পরিচয়পত্র ভুয়া, এবং অতীতে তার ও তার মায়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা হয়েছে। একইসঙ্গে, তিনি বলেন, সোহিনীর ভারতের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ হয়ে গেছে এবং তিনি এখন অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছেন।
এদিকে, সোহিনীর ভাই এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহু মানুষ সোহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে পরিবারের আচরণকে নিন্দা করেছেন।
কলকাতায় ফেরার পর সোহিনীর সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রীরা, বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারাও। সোহিনী তাঁদের জানান, তাঁর স্বামীকে কেবলমাত্র ‘হিন্দু’ হওয়ার কারণে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে এবং তিনি রাজ্যে ফিরে এসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বর্তমানে এই ঘটনা ঘিরে আইনি ও সামাজিক বিতর্ক তীব্রতর হয়েছে। একজন সন্ত্রাসী হামলার শিকার বিধবার বিরুদ্ধে এমন আচরণ কতটা মানবিক ও ন্যায়সংগত—সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই