বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিরূপণে বিশ্ববিখ্যাত যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ২০২৫ সালের এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং প্রকাশ করেছে। এবারের তালিকায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। ২৩ এপ্রিল টাইমস হায়ার এডুকেশন তাদের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করে। এশিয়ার ৩৫টি অঞ্চল থেকে ৮৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় এ তালিকায় স্থান পেয়েছে, যা এশিয়া র্যাংকিংয়ের ১৩তম সংস্করণ।
তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ডিআইউ ৩০১-৩৫০ অবস্থানে রয়েছে, যা একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিসহ আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে অবস্থান করছে।
২০২৪ সালের তালিকায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শীর্ষে ছিল, তবে এবারে তাদের অবস্থান কিছুটা নিচে নেমেছে। তারপরও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (AIUB) এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (DIU) নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে।
টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নির্ধারণে শিক্ষার গুণগত মান, গবেষণার পরিবেশ ও পরিমাণ, গবেষণায় আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতি, ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সংযোগ এবং আন্তর্জাতিক ছাত্র ও শিক্ষকের উপস্থিতির মতো গুরুত্বপূর্ণ সূচক ব্যবহার করে। এবারের তালিকায় বিশ্বের ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলের দুই হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।
তালিকায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি উচ্চশিক্ষার অগ্রগতির একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেও, এখনো শীর্ষ ৩০০-তে কোনো প্রতিষ্ঠান জায়গা না পাওয়াটা গবেষণা, শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মান বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট করে তুলছে। ভবিষ্যতে বিশ্বমানে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার গুণগত মান, গবেষণার পরিধি এবং আন্তর্জাতিক সংযোগ বাড়ানোর দিকে আরও মনোযোগী হতে হবে।
অসমাপ্ত জুলাই বিপ্লব পূর্ণ করুন : মাহমুদুর রহমান
বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা নয় সম্পদ
কথা বললে গ্রেপ্তার, প্রতিবাদ করলে গুম আর রাজপথে নামলে গুলি - এই নিয়মে মিশরে ৩০ বছর স্বৈরশাসন চালান হোসনি মোবারক।
গণঅভ্যুত্থানোত্তর সময়েও জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তী উদযাপনের দায়সারা প্রস্তুতি!