যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলা, ইয়েমেনে নিহত ১২

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

হুতিদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানার আত্তান এলাকা, আসির অঞ্চলের একটি স্যানিটেশন প্রকল্প, ফুরওয়াহ পাড়া এবং শোব জেলার একটি ব্যস্ত বাজার লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। ২০১৪ সাল থেকে এসব এলাকা হুতিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগেও, গত সপ্তাহে ইয়েমেনের রাস ইসা বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়। এর পাল্টা জবাবে হুতিরা ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিয়নসহ লোহিত ও আরব সাগরে অবস্থানরত মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তারা যুক্তরাষ্ট্রের একটি এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবিও করেছে।

হামলার পর হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা চালাতে থাকে, তবে আমরা পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাব। সংঘাত শুধু বাড়বে, কমবে না।”

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে হুতিরা ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও আরব সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুটে পশ্চিমা ও ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, এসব হামলার প্রেক্ষিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের মার্চে হুতিদের বিরুদ্ধে ‘শক্তিশালী সামরিক পদক্ষেপ’ নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং তাদের ‘সম্পূর্ণ নির্মূল’ করার হুমকি দেন।

যদিও জানুয়ারিতে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর হামলা স্থগিত করে হুতিরা, কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েল পুনরায় অভিযান শুরু করলে হুতিরাও আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে।

সূত্র: আল জাজিরা