ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (১১ জুন) দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
দিল্লির বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০.৯ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করলেও হিট ইনডেক্স বা তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার সম্মিলিত প্রভাব ৫১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
রাজধানীতে পারদ চড়লেও উত্তর-পশ্চিম ভারতে অবশ্য কিছুটা স্বস্তির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। সংস্থাটির মতে, ১৪ জুন থেকে ওই এলাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে। যদিও পশ্চিম রাজস্থান ও আশপাশের এলাকাগুলোতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে, তবুও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিনে আইএমডি জানায়, ‘পূর্ব ভারতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে পরবর্তী তিন দিনে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং এরপর থেকে তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকবে।’
আইএমডির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পশ্চিম দিক থেকে আসা ঝড়ো বাতাসের কারণে দিল্লিতে শুক্রবারের (১৩ জুন) পর থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।
তার কথায় সমর্থন দিয়েছেন আইএমডির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী নরেশ কুমারও। স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তীব্র গরম অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ১৩ জুন রাত থেকে পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হওয়া বাতাসের প্রভাবে দিল্লিতে হালকা বৃষ্টি ও বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।’
গতকাল (১১ জুন) আইএমডির বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির সবচেয়ে উত্তপ্ত এলাকা ছিল আয়ানাগার (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। এরপর যথাক্রমে পালাম (৪৪.৫), রিজ (৪৩.৬), পিতমপুরা (৪৩.৫), লোধি রোড (৪৩.৪), সফদরজং (৪৩.৩), ও ময়ূর বিহার (৪০.৯) সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট বহাল থাকলেও শুক্রবার রাত থেকে পরিস্থিতির উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে দিল্লিতে গ্রীষ্মকালীন সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা (৮,২৩১ মেগাওয়াট) রেকর্ড করেছে রাজ্য লোড ডিসপ্যাচ সেন্টার (এসএলডিসি)।
সূত্র : ইউএনবি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই