আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ—এর মাধ্যমে বাংলাদেশের আগামী দিনের রাজনীতির নতুন গতিপথ তৈরি হয়েছে।
এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে, যেমন বিএনপিকে বাদ দিয়ে জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে, ঠিক তেমনই আওয়ামী লীগও নিষিদ্ধ হয়েছে। তেমনি করে সংস্কার ও বিচার ছাড়া কোনো নির্বাচনও হবে না। কারণ, জুলাইয়ের সকল প্ল্যাটফর্ম ঐক্যবদ্ধ।
বিএনপি জনগণের পালস বুঝতে পারছে না। তারা ভাবছে ‘র’ (RAW) তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। অথচ এই আন্দোলনের সাফল্যের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে এমন একটি জোট আসছে যারা জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করে এবং এই কয়টি দলই জুলাইয়ে সামনে থেকে আন্দোলন সফল করেছে।
গত রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্য থেকেই বোঝা গেছে তাদের মনের কথা। তারা যেভাবে নিজেদের ভাবতে শুরু করেছে যে তারা ক্ষমতায় চলে গেছে, তাই এখন থেকেই ভাগ-বাটোয়ারা, চাঁদাবাজি শুরু করে দিয়েছে। আসলে জনগণ এই ৯ মাসে বিএনপির কার্যক্রমে অতিষ্ঠ। নিজেদের অবস্থান নিজেরাই নষ্ট করেছে। ডালে ডালে হুতুম পেঁচা বসে গেছে, তাই ফুলের বাগান ধ্বংস করার জন্য তারাই যথেষ্ট।
জুলাইয়ের যোদ্ধারা এখনো চান খালেদা জিয়া সকল শক্তিকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করে দেশের নেতৃত্ব দিন। কিন্তু খালেদা জিয়ার হাতে এখন আর নাটাই নেই, সেটা এখন লন্ডন থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই সেটা আর সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার দিন বিকেল থেকে দেখা গেছে, নেতাদের কথা না শুনে বিএনপির সাধারণ কর্মীরা জনতার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে শাহবাগে এসেছে। তাদের এই আসার মধ্য দিয়েই বোঝা গেছে, সাধারণ কর্মীরা তাদের নেতাদের অবস্থান প্রত্যাখ্যান করেছে।
বেকায়দায় বিএনপি।
অটোমেটিকভাবেই তারা জনগণের মুখোমুখি হয়ে গেছে। কারণ, দেশবাসী চায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক, অথচ বিএনপি তা চায় না। তারা প্রমাণ করেছে, যেমন জুলাই বিপ্লবেও তারা সুবিধাবাদী অবস্থানে থেকে কৃতিত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, এবারও ঠিক তাই।
তারা ভেবেছিল, ইউনূস সরকার তাদের যেই গুরুত্ব দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রেও তাদের মতামতই প্রাধান্য পাবে, আর নির্বাচনে লীগের ভোটে অনায়াসে নির্বাচিত হবে! কিন্তু হলো হিতে বিপরীত! সারাদেশ একদিকে, আর বিএনপি অন্যদিকে—অর্থাৎ ফ্যাসিবাদের পক্ষে!
হে বিএনপি!
তোমরা ১৬ বছরের নির্যাতিত পরিবারগুলোর কাছে ভোট চাইবে কোন মুখে? তোমাদের দলের নির্যাতিত মজলুমদেরই বা কী জবাব দেবে? আফসোস!!!
— এস এম আরাফাত হোসাইন
রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট
অসমাপ্ত জুলাই বিপ্লব পূর্ণ করুন : মাহমুদুর রহমান
বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা নয় সম্পদ
কথা বললে গ্রেপ্তার, প্রতিবাদ করলে গুম আর রাজপথে নামলে গুলি - এই নিয়মে মিশরে ৩০ বছর স্বৈরশাসন চালান হোসনি মোবারক।
গণঅভ্যুত্থানোত্তর সময়েও জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তী উদযাপনের দায়সারা প্রস্তুতি!