আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, বাগেরহাটে সেবা গ্রহীতার সাথে অসদাচরণ এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৪/৫/২০২৫ ইং তারিখে সদর উপজেলার দশানীস্থ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে মোঃ মুহিত (ছদ্মনাম) তার পিতা-মাতার পাসপোর্ট করার জন্য তাদেরকে নিয়ে বেলা ১২ টার সময় অফিসে যান। ওখানে পৌছানোমাত্র দায়িত্বরত আনসার সদস্য তার হাত থেকে ডকুমেন্টস নিয়ে নেয় এবং নিজেই জমা কাউন্টারে জমা দেয়।
অতঃপর প্রায় ৪০ মিনিট বসিয়ে রেখে তার পিতা-মাতাকে অফিসের নিচতলায় ১০৩ নং রুমে ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া ও ছবি তোলার জন্য পাঠায়।
এরপর আরো প্রায় ৩০ মিনিট পরে শুধুমাত্র ভুক্তভোগীর মায়ের আঙুলের ছাপ ও ছবি নেয় এবং তার বাবা (আইনজীবী) সাদা শার্ট ও টুপি খুলে অন্য রংয়ের শার্ট ও টুপি পড়ে আসতে বলে, ১০৩ নং রুমের দায়িত্বরত জনৈক মহিলা।
কিন্তু, ভুক্তভোগীর পিতা দ্রুত শার্ট ও টুপি পরিবর্তন করে এসে দেখেন, নিচ তলায় কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই। তখন তিনি পাসপোর্ট প্রদানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ওই সময় এই লোক বাইরে বের হচ্ছিলেন) জিজ্ঞেস করেন, সকল কর্মকর্তা-কর্চারীরা কোথায় গেছেন? তখন উত্তরে ওই কর্মকর্তা বলেন, পাসপোর্ট অফিসে কোন নিয়ম-কানুন নেই৷ যার যখন ইচ্ছা তখন খেতে যায়, যখন ইচ্ছা ফিরে আসে। ততক্ষণে বেলা ২.১০ মিনিট বেজে যায়। ভুক্তভোগীর ছেলে বেলা ২.১১ এর সময় অফিসের ২য় তলায় গিয়ে দেখেন, ১০৩ নং রুমের দায়িত্বরত কর্মকর্তা এবং পাসপোর্ট আবেদন এর ডকুমেন্টস গ্রহন কর্মকর্তা খোশ গল্প করছেন। তিনি তাদেরকে বলেন, আমার পিতা বৃদ্ধ মানুষ। তিনি পোষাক পরিবর্তন করে এসেছেন। প্রায় ১ ঘন্টা তিনি অপেক্ষা করছেন৷ আপনারা সবাই মিলে অফিস ফাঁকা রেখে দোতলায় কি করেন?
উক্ত কর্মকর্তারা কোন সদুত্তর না দেওয়ায় তিনি নীচতলায় চলে আসেন। এই সময় মোঃ মুহিত ওই অফিসের ২৮ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও করেন। সেখানে দেখা যায়- পাসপোর্ট আবেদন এর ডকুমেন্টস গ্রহন কর্মকর্তা, পাসপোর্ট প্রদান কর্মকর্তা এবং দায়িত্বরত কোন আনসার সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এসময়, অফিসে সেবা নিতে আসা কয়েকজনের সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের মোঃ সবুজ (ছদ্মনাম) অভিযোগ করেন, এই পর্যন্ত ৪ বার তিনি সকল কাগজপত্র নিয়ে অফিসে আসা স্বত্বেও কর্মকর্তারা বার বার আমাকে হয়রানি করছে। আজও আবেদন গ্রহন না করে ফেরত পাঠিয়েছে। এই ভুক্তভোগী একজন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা।
অন্য আরেকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার শাশুড়ী মারাত্মক অসুস্থ বিধায় তিনি নিজে আবেদন জমা দিতে এসেছেন। বিভিন্ন অযুহাতে ৩ বার তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, বাগেরহাটের উপ পরিচাক এর কাছে জানতে চাওয়ার জন্য গেলে তার রুম বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখা যায়। তখন বিকাল ৩.০০ টা বাজে।
স্থানীয় কয়েকজনের কাছে প্রশ্ন করলে তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই এই পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেপরওয়া হয়ে উঠেন৷ ঘুষ ছাড়া কোন কাজই তারা করতে চান না। দায়িত্বে অবহেলার প্রচুর অভিযোগ আছে উক্ত অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। তারা এই অফিসের চলমান দুর্নীতি ও সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আশা করেন।
শহীদ আলিফ আহম্মেদ সিয়াম-এর কবর জিয়ারত করলেন বাগেরহাটের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত কর্মসূচি
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার
আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা - ধর্ম উপদেষ্টা