সাকিব আল হাসানের জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে চলমান অনিশ্চয়তার মাঝেই আশার বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকলেও জাতীয় দলের দরজা এখনো বন্ধ হয়ে যায়নি তার জন্য, জানিয়েছেন বোর্ড পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু।
সর্বশেষ তিনি খেলেছেন ২০২3 সালের অক্টোবর মাসে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে, যা কার্যত তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরিকল্পিত বিদায়ী ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি। এর মাঝে তার বোলিং অ্যাকশনে সমস্যা ধরা পড়ায় ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাকে নিষিদ্ধ করেছিল, যদিও ২০২৪ সালের শুরুতে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও তার অনুপস্থিতির একটি বড় কারণ। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর, ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য হিসেবে জনরোষের আশঙ্কায় দেশে ফিরছেন না সাকিব, যা তার জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিসিবির পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন—
“সাকিব একজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার। বোলিং অ্যাকশন সংশোধনের পর সে আবারও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছে। আরও কিছু ম্যাচ খেলার পর আমরা স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারব।”
তিনি আরও বলেন—
“এই চার সিনিয়র (সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ) ছাড়া দল একরকম নতুন। একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তবে তরুণদের মাঝে প্রতিভা আছে, সময় দিলে ফল আসবে।”
বাংলাদেশ এখন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে। মুশফিক কেবল টেস্টে খেলছেন, তামিম ও মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। আর সাকিবের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট, যদিও তিনি ওয়ানডে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেননি।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স হতাশাজনক, সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে সিরিজ হার, সামনে পাকিস্তান সফর—সব মিলিয়ে বোর্ড চাপে আছে। তাই সাকিবের মতো অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত ক্রিকেটারের ফেরার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে।
সাকিব এখনও বিসিবির বিবেচনায় আছেন। তার ফর্ম ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় দলে এক নতুন প্রজন্মের সূচনা হলেও অভিজ্ঞ নেতৃত্বের শূন্যতা স্পষ্ট, যা সাকিবের ফেরার প্রয়োজনীয়তা সামনে নিয়ে আসছে। এখন সিদ্ধান্ত সাকিব ও বিসিবির হাতে—রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং মাঠের পারফরম্যান্স—দুটোর সমন্বয়েই নির্ধারিত হবে ভবিষ্যৎ।
সূত্র:টিবিএস