জামায়াত ইসলামী আমির ড. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী রোজার আগেই একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব, তবে তার আগে দেশের মানুষ যে তিনটি ‘ম্যান্ডেটরি’ বা বাধ্যতামূলক শর্তের প্রত্যাশা করে, তা পূরণ করতেই হবে।
তিনি বলেন, প্রথমত, একটি নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে যে মৌলিক ও কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন, তা এখনই দৃশ্যমান ও গ্রহণযোগ্যভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। কমিশনের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, এই সংস্কারগুলো ছাড়া যে নির্বাচন হবে, তা অতীতের মতোই অস্বচ্ছ ও প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং গণতন্ত্রকে আরও পেছনে ঠেলে দেবে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত সময়ের সহিংসতায় নিহত ও আহতদের জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই বিচার হতে হবে প্রকাশ্য ও জাতির সামনে দৃশ্যমান, যেন জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা যায়।
তৃতীয়ত, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে পরস্পরের প্রতি সম্মান এবং সহনশীলতা সৃষ্টি করতে হবে। জিতলে নির্বাচন ভালো, হারলে নির্বাচন খারাপ—এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এমন একটি নির্বাচনের প্রয়োজন যা নিয়ে সহজে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে, এবং তা হতে হবে জাতিগত ঐকমত্যের ভিত্তিতে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত না করে কোনো নির্বাচন করলে তা শুধু আরেকটি ব্যর্থ নির্বাচনের জন্ম দেবে।” তিনি মনে করেন, এখনই সময় সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং দেশকে একটি সুস্থ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে এগিয়ে নেওয়ার।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ