দীর্ঘ সংস্কার ও প্রতীক্ষার পর আজ আবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছে দেশের জাতীয় স্টেডিয়াম। সন্ধ্যা ৭টায় ফিফা প্রীতি ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। হোম অব ফুটবলের নবযাত্রা ঘিরে দেশে তৈরি হয়েছে এক অভূতপূর্ব উত্তেজনা। ম্যাচ ঘিরে সমর্থক, গণমাধ্যম ও ফুটবল সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে বিরাজ করছে বাড়তি উদ্দীপনা।
ম্যাচের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ইংল্যান্ড প্রবাসী মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। বহু প্রত্যাশিত এই তারকা আজ দেশের মাটিতে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক করতে যাচ্ছেন। কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা নিশ্চিত করেছেন, ভুটান ম্যাচে খেলবেন হামজা। অন্যদিকে ফাহামিদুলকে পুরো সময় দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কোচ কাবরেরা ভুটান ম্যাচকে ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে দেখলেও জানালেন, দর্শকদের জন্য একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিতে প্রস্তুত তার দল। ভুটানের বিপক্ষে জয় এনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে সিঙ্গাপুর ম্যাচে নামার লক্ষ্য বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ দলের আরেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় জামাল ভূঁইয়া ম্যাচ ঘিরে অতীতের চেয়ে ভিন্ন এক উন্মাদনার কথা জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের আগ্রহ দেখে তিনিও বিস্মিত। তবে ভুটান ম্যাচে তার খেলা এখনও নিশ্চিত নয়। মার্চে ভারতের বিপক্ষে কোচ কাবরেরা তাকে মাঠে নামাননি।
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ভুটানের বিপক্ষে ১৬টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ১২টিতে, হার ২টি এবং ড্র হয়েছে ২টি। যদিও সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে ভুটানে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে এবার হামজা চৌধুরীসহ উচ্চ প্রোফাইল প্রবাসী খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশের দল আগের চেয়ে শক্তিশালী।
ভুটানও কম প্রস্তুত নয়। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ (১৮৩) থেকে এক ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির কোচ জাপানের নাকামুরা জানিয়েছেন, তারা সেরা পারফরম্যান্সের জন্য প্রস্তুত। ব্রুনাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশ থেকে ভালো স্মৃতি নিয়ে যেতে চায় ভুটান।
আজকের ম্যাচ শুধু একটি প্রীতি ম্যাচ নয়—এটি বাংলাদেশ ফুটবলের সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে বলে আশাবাদী অনেকে। মাঠে জয়, গ্যালারিতে উত্তেজনা—সব মিলিয়ে আজকের সন্ধ্যা হয়ে উঠতে পারে দেশের ফুটবলের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।