বগুড়া পৌরসভা দেশের ১৩তম সিটি করপোরেশন হিসেবে যুক্ত হতে যাচ্ছে। গত রোববার বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা এ বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০ এপ্রিলের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়া পৌর এলাকার ২১টি ওয়ার্ডের আওতায় থাকা মৌজাগুলো নিয়ে সিটি করপোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারও আপত্তি থাকলে ৩০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত থাকায় বগুড়াকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। সরকার পরিবর্তনের পর এই দাবি আরও জোরালো হয় এবং জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবনায় প্রক্রিয়া এগিয়ে যায়। গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর স্থানীয় জনগণের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে গেজেট প্রকাশ করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বগুড়া পৌরসভা ১৯৮১ সালে ‘ক’ শ্রেণির মর্যাদা পায়। আয়তন প্রায় ৭০ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ১০ লাখের মতো। সিটি করপোরেশনের শর্ত অনুযায়ী, একটি পৌরসভার অন্তত ২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন এবং ৫ লাখ জনসংখ্যা থাকতে হয়—যা বগুড়ায় রয়েছে। তবু এতদিন এই অঞ্চলে বড় কোনো উন্নয়ন কার্যক্রম দেখা যায়নি।
বগুড়া পৌরসভায় বর্তমানে পাকা ও কাঁচাসহ প্রায় ১,৩৪০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পৌরসভার বার্ষিক আয় ৬০ কোটির বেশি। এছাড়া শিল্প, ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও আবাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর বিস্তৃতি রয়েছে এ অঞ্চলে।
পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও মেয়রেরা দ্রুত সিটি করপোরেশন বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানিয়েছেন, স্থানীয় জনগণের মতামত নেওয়া হচ্ছে, কারও আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে বগুড়া সিটি করপোরেশন ঘোষণা দেওয়া হবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সূত্র:কালবেলা
শহীদ আলিফ আহম্মেদ সিয়াম-এর কবর জিয়ারত করলেন বাগেরহাটের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত কর্মসূচি
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার
আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা - ধর্ম উপদেষ্টা