খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এক দফা দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আজ মঙ্গলবার বুয়েট শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বেলা ১টার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি পলাশী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। পরে রাজু ভাস্কর্যে তারা এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
বুয়েটের শিক্ষার্থী আল ফারাবী বলেন, “কুয়েট শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবির প্রতি বুয়েট শিক্ষার্থীরা পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছে। আমরা জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি, কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত মেনে নিয়ে তাদের অনশন ভঙ্গের ব্যবস্থা করা হোক। সেইসঙ্গে প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি— কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন এবং একটি উপযুক্ত শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন।”
সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে বুয়েটের অনেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #BUETiansStandWithKUETians, #StandWithKUET হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পোস্টও দিচ্ছেন।
ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট:
১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-যুবদল এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এর জেরে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম এবং হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। পরদিন ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে এবং ঘোষণা দেয়, একাডেমিক কার্যক্রম ৪ মে এবং হলগুলো ২ মে থেকে খুলে দেওয়া হবে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অপসারণ ও শিক্ষা ও বসবাসের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের এক দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন।
শহীদ আলিফ আহম্মেদ সিয়াম-এর কবর জিয়ারত করলেন বাগেরহাটের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত কর্মসূচি
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার
আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা - ধর্ম উপদেষ্টা