বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানেও সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজাবাসীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে এক বিশাল র্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভে পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ অংশ নেয়।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (১৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের করাচি শহরের শাহরা-এ-ফয়সাল সড়কে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে এবং হামাস নেতাদের ছবি নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা ‘গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করো’, ‘ইসরাইল নিপাত যাক’ এবং ‘গাজায় গণহত্যা – মুসলিম বিশ্ব লজ্জিত হও’ লেখা ব্যানার হাতে নিয়ে সড়কে মিছিল করেন।
এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নারী, পুরুষ, মুসলমান, খ্রিস্টান এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা গাজায় নিহত শিশুদের স্মরণে সাদা কাফনে মোড়ানো পুতুল রাস্তায় রেখে আবেগতাড়িত মুহূর্ত সৃষ্টি করেন।
সড়কজুড়ে একটি বিশাল ১০০ ফুট দীর্ঘ ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা ‘লাব্বাইক ইয়া গাজা’ ও ‘লাব্বাইক ইয়া আকসা’ স্লোগান দিচ্ছিলেন, যার অর্থ “গাজা, আমরা আছি” ও “আল-আকসা, আমরা আছি”।
বিক্ষোভকারীরা বিশ্ব শক্তিগুলোর সমালোচনা করে বলেন, তারা ইসরাইলের পাশে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালানোর সুযোগ তৈরি করছে। পাকিস্তানের খ্রিস্টান নেতা ইউনাস সোহান জানান, পাকিস্তান সবসময় ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে।
এদিকে, ইসলামপন্থি দল জমিয়াতে উলামা ইসলাম (জেইউআই)-এর আয়োজনে একটি ফিলিস্তিন সংহতি সম্মেলনও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দলটির প্রধান মাওলানা ফজল-উর-রহমান ইসরাইলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধে সহযোগিতার অভিযোগ তোলেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইল গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু।
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না