ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ শুরু করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। শুক্রবার দিবাগত রাতে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে সামরিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের একাধিক সামরিক স্থাপনায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, ভারত প্রথমে পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতের পাঠানকোট, উধমপুরসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ভোর পৌনে ছয়টার দিকে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে কয়েকটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে বিস্ফোরণ হয় বলে বিবিসির স্থানীয় সংবাদদাতারা নিশ্চিত করেছেন। এসব অঞ্চলে বর্তমানে ব্ল্যাকআউট চলছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, “ভারতের হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি,” তবে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সন্দেহভাজন সশস্ত্র ড্রোন শনাক্ত হয়েছে। পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ড্রোন হামলায় কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।
সামরিক পরিস্থিতির কারণে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানও শনিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত তাদের আকাশসীমা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখে।
দুই দেশের মধ্যে এই সামরিক উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিষয়টিকে উদ্বেগের চোখে দেখছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই