অপারেশন ‘সিঁদুর’ দিয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে ভারত হয়তো তাৎক্ষণিক কিছু অর্জনের স্বপ্ন দেখেছিল, তবে বাস্তবে তা পরিণত হয় এক গভীর সামরিক বিপর্যয়ে। পাকিস্তান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হারিয়ে দেয় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে একটি ছিল রাফায়েল। এরপর শুরু হয় পাকিস্তানের পাল্টা সামরিক অভিযান—‘অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস’। শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাকিস্তান ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও অবকাঠামোতে ব্যাপক আক্রমণ চালায়।
এই হামলায় ভারত হারায় ৫০ জনেরও বেশি সেনা এবং বেশ কিছু সামরিক পোস্ট। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ক্ষতি হয় ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়। ভারতের নীতিনির্ধারকরা এমন পরিস্থিতিতে কী প্রতিক্রিয়া জানাবে তা নিয়েই অচল হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত কারগিল যুদ্ধের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির দিকে যেতে বাধ্য হয় ভারত।
ভারতের সামরিক ব্যর্থতার সমালোচনায় সরব হয়েছেন দেশটিরই বিশিষ্ট সমরবিশ্লেষক প্রভিন সনি, যিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে প্রশ্ন তুলেছেন—এই অভিযান আদৌ প্রয়োজনীয় ছিল কি না। তিনি বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা নীতি ও নিরাপত্তা কৌশল এখন গভীর সংকটে। ভিডিওটিতে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযানের পর শ্রীনগর, জম্মু ও পাঞ্জাবে চারটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, যেগুলোর বিষয়ে ভারত সরকার এখনো কোনো স্বচ্ছ ব্যাখ্যা দেয়নি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আপনি যদি বারবার সীমিত ক্ষমতা দেখিয়ে শত্রুকে আক্রমণ করেন, তাহলে আপনি কোনো প্রতিরোধ (deterrence) তৈরি করছেন না, বরং আপনার দুর্বলতা প্রকাশ করে ফেলছেন।”
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রর ভাষ্যেও ছিল অস্পষ্টতা। তিনি বিমান বাহিনীর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি, এমনকি কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যান। অথচ পাকিস্তান পরিষ্কার দাবি করেছে তারা ভারতের চার থেকে পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
প্রভিন সনি বলেন, “ডিটারেন্স মানে যুদ্ধ ঠেকানো। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে তা হয়নি, বরং যুদ্ধ ডেকে আনা হয়েছে।”
সূত্র:আমার দেশ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই