ঢাকার কেরানীগঞ্জে অজ্ঞাতনামা নারীর বস্তাবন্দী খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত চালাতে গিয়ে একসঙ্গে তিনটি হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত মহিউদ্দিন হাওলাদার ওরফে শিমুল (৩১) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুঠোফোন রিচার্জ কার্ডের সূত্র ধরে তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহতরা হলেন মহিউদ্দিনের সাবেক স্ত্রী বীথি আক্তার (২৪), বীথির চার বছরের ছেলে মো. রাফসান এবং একই ফ্ল্যাটের সাবলেট ভাড়াটে নূপুর আক্তার (২৫)।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে ৯৯৯-এ কল পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পূর্ব আগানগর বাঘাবাড়ি এলাকায় সড়কের পাশে পড়ে থাকা একটি বস্তা থেকে অজ্ঞাত এক নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন রোববার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ভাসমান অবস্থায় আরও তিনটি মানবদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত চালাতে থাকে। উদ্ধারকৃত একটি মুঠোফোন রিচার্জ কার্ডের সূত্র ধরে মহিউদ্দিনকে রাজধানীর জুরাইন রেললাইন এলাকা থেকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মহিউদ্দিন তিনটি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, কর্মস্থলে পরিচয়ের সূত্রে বীথি আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ২০১৭ সালে তাঁরা গোপনে বিয়ে করেন। পারিবারিক বিরোধের কারণে তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। পরে বীথি অন্যত্র বিয়ে করলেও মহিউদ্দিনের সঙ্গে আবারো সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
সম্প্রতি বীথি মহিউদ্দিনের কাছে ফিরে আসেন এবং তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে কেরানীগঞ্জে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু মহিউদ্দিনের পূর্বের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত থাকায় বীথি পুনরায় বিয়ের জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরে শুক্রবার সকালে মহিউদ্দিন প্রথমে বীথি আক্তারকে, পরে তাঁদের শিশুপুত্র রাফসান এবং সবশেষে নূপুর আক্তারকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
পরে তিনটি মরদেহ টুকরো করে প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন মহিউদ্দিন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও ভিকটিমদের মুঠোফোনও নদীতে ফেলে দেন তিনি।
পুলিশ জানায়, মহিউদ্দিন মাদকাসক্ত ছিলেন। নিহত নূপুর ও শিশুপুত্র রাফসানের মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হলেও বীথির মরদেহের সব অংশ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় বীথির বোন সাথী আক্তার বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার রেকর্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ তিনটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, উপপরিদর্শক ইবনে ফরহাদ, জহুরুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম।
সূত্র:প্রথম আলো
শহীদ আলিফ আহম্মেদ সিয়াম-এর কবর জিয়ারত করলেন বাগেরহাটের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত কর্মসূচি
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার
আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা - ধর্ম উপদেষ্টা