আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সক্রিয় প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত সময় ধরে নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটি দেশজুড়ে রাজনৈতিক মাঠে সরব হয়েছে। দলীয় সূত্র জানায়, জামায়াত ২৯৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রাথমিকভাবে ‘চূড়ান্ত’ করেছে।
এরই মধ্যে ধাপে ধাপে বিভিন্ন আসনে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে এবং ঘরোয়া গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন নির্বাচনী সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত জমজমাট হয়ে উঠেছে জামায়াতের সাংগঠনিক তৎপরতা।
বিশেষ দৃষ্টি কেড়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। দলীয় সূত্র জানায়, তিনি ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-১৫ আসনে প্রার্থী হতে পারেন। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও তিনি এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। চলতি বছর ২৫ এপ্রিল তাকে রিকশায় করে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে দেখা যায়, যা ইতোমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তবে শুধু ঢাকা-১৫ নয়, নিজের জন্মস্থান মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনেও তাকে ঘিরে জল্পনা চলছে। যদিও এই আসনে দলীয়ভাবে মৌলভীবাজার জেলা আমির ইঞ্জিনিয়ার সাহেদ আলীর প্রার্থিতা ঘোষিত, তবে জামায়াত আমির হিসেবে ডা. শফিকুর রহমানের নিয়মিত সফর, পথসভা এবং হিন্দু সম্প্রদায় ও চা-শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় তাকে এই আসনেরও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সামনে আনছে।
এখন পর্যন্ত দু'টি আসনেই তার সক্রিয় উপস্থিতি এবং জনসংযোগ রাজনৈতিক মহলে নানা হিসাব-নিকাশের জন্ম দিয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলেও ডা. শফিকুর রহমানের অংশগ্রহণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন স্তরে আলোচনা চলছে।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জামায়াতের এমন তৎপরতা নির্বাচনী লড়াইয়ে দলটির সক্রিয় অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ