কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ী গ্রামে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে এক মর্মান্তিক গণপিটুনিতে একই পরিবারের মা, ছেলে ও মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা হলেন রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫), তার পুত্র রাসেল মিয়া (২৮) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (২৩)। আহত হয়েছেন রুবির আরেক মেয়ে রুমা, যাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সকালে একটি মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে প্রায় ৮০-৯০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে রুবির বাড়িতে হামলা চালায়। প্রথমে বাড়ির দিকে ইট ছোড়া হয়, পরে ঘরে ঢুকে গণপিটুনি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাহ ও মেম্বার বাচ্চু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং কেউ হামলাকারীদের থামায়নি।
নিহত রাসেলের স্ত্রী মীম আক্তার জানান, হামলাকারীরা রুবিকে উঠানে ফেলে মারধর করে এবং প্রতিবাদ করতে এলে মেয়েদেরও পেটানো হয়। রুবির আত্মীয় হানিফ মিয়া অভিযোগ করেন, চেয়ারে বসা জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি হামলাকারীদের সাহস দিয়েছে।
এলাকার বেশিরভাগ মানুষ এখন আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে, পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য। অনেক বাড়িতে তালা ঝুলছে। স্থানীয়রা স্বীকার করেছেন, নিহত পরিবারটি দীর্ঘদিন মাদক কারবারে জড়িত ছিল, তবে এভাবে হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি, তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার বলেছেন, এই বর্বর ঘটনার বিচার হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিবারকে সময় দিচ্ছে যেন তারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
শহীদ আলিফ আহম্মেদ সিয়াম-এর কবর জিয়ারত করলেন বাগেরহাটের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত কর্মসূচি
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার
আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা - ধর্ম উপদেষ্টা