নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার উজানগাঁও গ্রামে একটি কলাগাছে একসঙ্গে প্রায় ৫০টি মোচা (থোর) দেখা গেছে। বিরল এই দৃশ্য দেখতে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন উৎসুক মানুষজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও গাছটির ছবি ও ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
কলাগাছটি রয়েছে গ্রামের কৃষক কাশেম মিয়ার জমিতে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি মোচা থেকেই গজাচ্ছে ছোট ছোট কলা। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কলা পেকে খাওয়ার উপযোগী হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবুও বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকছেন দর্শনার্থীরা। ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ, এমনকি শিক্ষার্থীরাও।
উজানগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুছ ছালাম বলেন, “এ রকম থোর আমি জীবনে দেখি নাই।”
একজন ৮০ বছর বয়সী গ্রামবাসী বলেন, “এই বয়সে এমন কিছু আর দেখি নাই।”
গাছটির মালিক কাশেম মিয়া বলেন, “আমি কলার জন্য গাছ লাগাইছি। এইরকম হইব ভাবি নাই। আল্লাহর ইচ্ছায় হইছে। প্রতিদিন শত শত লোক আইতেছে দেখতে। আশপাশের ফসল নষ্ট হইতেছে। তাই জালের বেড়া দিছি।”
এদিকে গাছটি ঘিরে ধর্মীয় বিশ্বাস ও কৌতূহলের মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ গাছটির চারপাশে লাল নিশান টাঙিয়েছেন। তাঁদের ভাষ্য, “এটা আল্লাহর নিয়ামত। মানুষ যাতে ভয়ে দূরে থাকে, এজন্যই লাল নিশান টাঙানো হইছে। পরে সবাই মিলে আলোচনা করে যা করার করব।”
তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, “এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। প্রকৃতিতে এমনটা মাঝেমধ্যে ঘটে। তবে এতে অতি উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই।”
সূত্র:কালের কন্ঠ
শহীদ আলিফ আহম্মেদ সিয়াম-এর কবর জিয়ারত করলেন বাগেরহাটের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত কর্মসূচি
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার
আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা - ধর্ম উপদেষ্টা