ভরা মৌসুমেও হঠাৎ দ্বিগুণ হয়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে ৩০-৩৫ টাকার পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। বাজারে সরবরাহ থাকলেও অস্থিরতার নেপথ্যে কাজ করছে পুরোনো একটি অসাধু সিন্ডিকেট—এমনটাই বলছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
কৃষকের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে তা বাজারে না ছেড়ে মজুত করে রেখেছে একটি চক্র। ভারত থেকে আমদানি বন্ধের অজুহাত সামনে এনে তারা পেঁয়াজ সংকটের মিথ তৈরি করছে। তাদের উদ্দেশ্য—সরকারকে জনগণের কাছে ব্যর্থ প্রমাণ করা এবং দেখানো, ভারতের পেঁয়াজ ছাড়া দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়।
রমজান শেষে ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে দাম। ঈদের আগে যেসব বিক্রেতা ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছিলেন, তারা এখন তা বিক্রি করছেন দ্বিগুণ দামে। পাইকারি আড়তে দাম এক সপ্তাহেই বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। জানা গেছে, সিন্ডিকেটের পরিকল্পনায় আগামী জুলাইয়ে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকায় তোলার ছক রয়েছে।
শুধু পেঁয়াজ নয়, সবজির বাজারেও চলছে একই কৌশল। ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙা, গোল বেগুন, কচুর লতি, চিচিঙ্গা—বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। শসা, পটল, করলা, ধুন্দুল, কাঁকরোল, কাঁচা মরিচের দামও ঊর্ধ্বমুখী।
ক্রেতারা বলছেন, রমজান ও ঈদের সময় সরকার যেমনভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল, এখন সেই উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। বাজারে এসে অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ না করলে ভোক্তারা আরও বিপদে পড়বে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারা বাজার অস্থির করছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, তিন স্তরে বাজার তদারকির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রমজান ও ঈদের সময়কার বাজার তদারকির মডেল পুরো বছরজুড়ে বাস্তবায়ন করতে পারলে এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব। অন্যথায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা সরকারের ওপরই পড়বে।
অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে নীলফামারীর জনসভায় ডা. শফিকুর রহমান
গণহত্যার বিচার ও আওয়ালীগকে নিষিদ্ধ করে জাতীয় সরকার গঠনের দাবী জুলাই মঞ্চের
আ. লীগের মিছিল ঠেকাতে না পারলে পুলিশকে জবাবদিহি করতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈদেশিক দেনা পরিশোধে ডিসেম্বরকে লক্ষ্য করে কর্মপরিকল্পনা
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না