ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা সরকারি মিডিয়া অফিস। আহত হয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫৮১ জন আহত হয়েছে। ভোর থেকে কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বিতর্কিত ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) বিতরণ কেন্দ্রে ৩৩ জন ত্রাণপ্রার্থীও রয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, দক্ষিণে আল-মাওয়াসিতে একটি তাঁবুতে ইসরাইলি বাহিনী হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। গাজা শহরের পশ্চিমে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল মুস্তাফা হাফেজ স্কুলে হামলায় ১৬ জন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন।
সেখানে আশ্রয় নেয়া আহমেদ মনসুর নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা বিমান হামলার প্রচণ্ড শব্দে ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। অনেকে বলছিল, ড্রোন হামলা, কিন্তু তীব্র শব্দ ছিল, সাথে ছিল অবিরাম গোলাবর্ষণ। মিসাইলগুলো এত ধ্বংসাত্মক ছিল যে আগুন ধরে যায় চারপাশে। কেউ সাহায্য করতে পারছিল না, মানুষ আগুনে পুড়েই মারা গেছে। আমাদের বাঁচানোর জন্য এখানে কেউ নেই।’
গাজা সরকারি মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়, এই হামলাগুলো মূলত সরাসরি বেসামরিক মানুষ, শিশু, নারী, আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্যের সন্ধানে থাকা মানুষদের টার্গেট করে চালানো হয়েছে।
এদিকে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, জিএইচএফের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা মার্কিন ঠিকাদাররা ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড় ঠেকাতে তাজা গুলি ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করছে। দু’জন মার্কিন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নিরাপত্তাকর্মীরা অযোগ্য, অপরিচিত এবং অতিরিক্ত অস্ত্রধারী। তারা কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই কাজ করছে।
তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে জিএইচএফ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই