রাজনৈতিক উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি অবস্থান আরও চরমে উঠেছে রাজধানী ঢাকায়। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। ‘ছাত্রজনতা’ ব্যানারে আয়োজিত এই মিছিলে হাজারো মানুষ অংশ নেয় এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয়করণ চেয়ে জোরালো স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ‘বিপজ্জনক’ হয়ে উঠেছে এবং তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। এ ছাড়া, একইদিন সকালে উত্তরায় আওয়ামী লীগের ব্যানারে যে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করার দাবিও জানানো হয়। তারা বলেন, সরকারদলীয় লোকদের এমন প্রকাশ্য শোডাউন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকার অভিযোগ তুলে। মিছিল জুড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
এর আগে ভোরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উত্তরায় একটি মিছিল করে। ‘ঢাকা-১৮ সংসদীয় এলাকা’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত সেই মিছিল থেকে তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ দাবি করেন। সেই মিছিলের একটি তিন মিনিটের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ।
একই দাবিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও আংশিক কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
এই পাল্টাপাল্টি মিছিল এবং হুমকি-ধামকির মধ্যে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে সংলাপ ও সমঝোতার পরিবর্তে উত্তেজনা আরও বাড়লে দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সূত্র:দৈনিক ইত্তেফাক
ফয়জুল করীমের পক্ষে বরিশালে উত্তাল জনতা, মেয়র ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ
কার পক্ষে প্রশাসন? একে অপরকে দুষছে এনসিপি-বিএনপি
বাংলাদেশ ভালো না থাকলে ভারতও ভালো থাকবে না’—সরাসরি বার্তা দিল জামায়াত আমির
ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার ও নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার: জামায়াত আমির
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না