গাজায় চলমান ভয়াবহ গণহত্যা ও মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের রিপাবলিক চত্বরে রবিবার বিকালে হাজারো মানুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাঁরা বিভিন্ন ভাষায় লেখা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার এবং ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে অংশ নেন এই সমাবেশে।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া তরুণ-তরুণী, শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সের মানুষ নিজেদের কণ্ঠে তুলেছেন মানবতার পক্ষে জোরালো আওয়াজ।
সমাবেশে এক প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—
“Attendez-vous qu'il n'y ait plus de Palestiniens pour reconnaître l'État de Palestine?”
বাংলা অনুবাদ: “আপনারা কি অপেক্ষা করছেন, সব ফিলিস্তিনি মারা গেলে তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবেন?”
এমন শ্লোগান ছিল প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে— বিশ্বের নীরবতা ও অব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক চেতনাপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
বিক্ষোভকারীরা ‘Ce n’est pas une guerre, c’est un génocide’ (এটি যুদ্ধ নয়, গণহত্যা) লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। ফ্রান্সের প্রাণকেন্দ্রে এই বার্তাগুলো প্রতিধ্বনিত হতে থাকে বারবার। পুরো এলাকা ঢেকে যায় ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকায়।
সমাবেশের আয়োজকরা বলেন,
“এটি কেবল একটি প্রতিবাদ নয়, এটি মানবতার পক্ষে একটি নিরবচ্ছিন্ন আওয়াজ। আমরা ন্যায়বিচার চাই। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এই গণহত্যা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া।”
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী এক তরুণ বলেন,
“আমরা চাই বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক। প্রতিটি মানুষের প্রাণের মূল্য আছে— ফিলিস্তিনিদেরও। তারা আমাদের মতোই মানুষ, তাদের কষ্টকে আর উপেক্ষা করা যায় না।”
ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলায় গাজায় প্রতিদিন অসংখ্য নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে স্পষ্টতই গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে চিহ্নিত করছে। কিন্তু পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো এখনও পর্যন্ত দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ।
প্যারিসের এই প্রতিবাদ যেন গোটা ইউরোপে একটি মানবিক বার্তা পৌঁছে দেয়— নীরবতা নয়, এখনই সময় প্রতিবাদের।
সূত্র: সাবা (SABA News)
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই