দেশে গত কয়েক মাস ধরে চালের বাজার অস্থির। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম কমছে না। বরং নতুন করে দাম আরও বেড়েছে। ব্যবসায়ী ও বাজার বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, খাদ্য উপদেষ্টার ‘দাম কিছুটা বাড়তে পারে’— এমন মন্তব্যের পর বাজারে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে (যেমন: বন্যা, পরিবহন খরচ, ডলারের দাম বৃদ্ধি) মিল মালিক ও করপোরেট ব্যবসায়ীরা চালের দাম চড়াচ্ছেন। অথচ বাজারে চালের সরবরাহ ঘাটতি নেই। সরকার আমদানির ওপর শুল্ক ছাড় দিয়েছে, নিজেও আমদানি করেছে, বেসরকারি খাতকেও উৎসাহিত করেছে। তথাপি কার্যকরভাবে দাম কমেনি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ধান ওঠার মৌসুম, দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। অন্যদিকে, সরকারের দুই উপদেষ্টার বিপরীতধর্মী বক্তব্যে (একজন বলছেন দাম কমবে, আরেকজন বলছেন দাম বাড়বে) জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারি টিসিবি’র তথ্য মতে, গত এক বছরে চালের দাম সরু, মাঝারি ও মোটা সব প্রকারের ক্ষেত্রেই বেড়েছে। খুচরা বাজারে সরু চালের দাম এখন কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকা, যা এক-দেড় মাস আগেও কিছুটা কম ছিল। মাঝারি চালের দামও বেড়েছে ৩ টাকার মতো।
চলতি অর্থবছরে সরকার ও বেসরকারি মিলে প্রায় ১০ লাখ ৭৭ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। তবু বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, মজুত যথেষ্ট, বাজার নজরদারি চলছে। তবে কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন বলছে, বাজারে সিন্ডিকেটের আধিপত্য ও পর্যাপ্ত তদারকির অভাবের কারণেই দাম বাড়ছে।
মিল মালিকরাও বাজার তদারকির ওপর জোর দিয়েছেন, বলছেন— কিছু গুটিকয়েক বড় ব্যবসায়ীর কারসাজির কারণে পুরো শিল্প বিপদে পড়ছে।
সংগৃহিত প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না