বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবি আজ একটি স্লোগানে রূপ নিয়েছে—“মোংলা বাঁচাও, দেশ বাঁচবে।” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মোংলা পোর্টের নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরে এবং এসব সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবিতে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনটি স্থানীয় জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক গণজাগরণে পরিণত হয়।
মোংলা বন্দর দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও দীর্ঘদিন ধরে নানা অব্যবস্থাপনা, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, প্রশাসনিক জটিলতা ও দুর্নীতির অভিযোগে ভুগছে। এতে শুধু বন্দরের কার্যক্রমই ব্যাহত হচ্ছে না, বরং বাগেরহাটসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নও স্থবির হয়ে পড়ছে। জনসাধারণ মনে করছে, মোংলা বন্দরকে কার্যকর ও টেকসই রূপে গড়ে তোলা না গেলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হবে।
এ গুরুত্বপূর্ণ জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি (NCP) দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমাতুল্লাহ।
উপস্থিত ছিলেন আরও—
এছাড়াও কর্মসূচিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা মোংলা বন্দরের স্থবিরতা এবং জনগণের দুর্দশার কথা তুলে ধরে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা মোংলা বন্দরের জন্য নিম্নলিখিত দাবিসমূহ উত্থাপন করেন—
এই মানববন্ধন ছিল একটি শান্তিপূর্ণ গণদাবির প্রকাশ। বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সরকার ও নীতিনির্ধারক মহল মোংলার জনসাধারণের এই ন্যায্য দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে। বক্তাদের ভাষায়—“মোংলা শুধু একটি বন্দর নয়, এটি দক্ষিণাঞ্চলের জীবনরেখা। তাই মোংলা বাঁচলে শুধু এই অঞ্চল নয়, সমগ্র বাংলাদেশ উপকৃত হবে।”
এই কর্মসূচি একটি প্রমাণ যে জনগণ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন, এবং তারা নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
শহীদ আলিফ আহম্মেদ সিয়াম-এর কবর জিয়ারত করলেন বাগেরহাটের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত কর্মসূচি
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার
আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা - ধর্ম উপদেষ্টা