জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু

জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশের প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। আলোচনার মূল এজেন্ডাগুলোর মধ্যে রয়েছে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংস্কার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি, এবং সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গঠনের প্রক্রিয়া।

এর আগে সোমবার (২ জুন) এই আলোচনা পর্বের উদ্বোধন করেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সভাপতি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “জাতীয় রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, এবং এ উদ্যোগ তার পথ রচনার প্রথম পদক্ষেপ।”

কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী জানিয়েছেন, এ আলোচনা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এবং এটি সরকারি টেলিভিশন বিটিভি নিউজে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে।

আজকের আলোচনায় অংশ নিচ্ছে:

• বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
• বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
• ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
• গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)
• নাগরিক ঐক্য
• গণসংহতি আন্দোলন
• আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)
• রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
• জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি
• বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
• লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)
• খেলাফত মজলিস
• জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)
• বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
• বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ
• বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)
• গণফোরাম
• জাকের পার্টি
• বাংলাদেশ লেবার পার্টি
• জাতীয় গণফ্রন্ট
• আমজনতার দল
• ভাসানী অনুসারী পরিষদ/ভাসানী জনশক্তি পার্টি
• বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
• জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
• ইসলামী ঐক্যজোট
• জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)
• জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট
• ১২ দলীয় জোট

এ আলোচনা পর্বের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক মতপার্থক্য কমিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক ফর্মুলা তৈরির প্রয়াস চলছে বলে জানাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা। সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে ৭০ অনুচ্ছেদের দমনমূলক প্রভাব নিরসন এবং তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার আইনি ভিত্তি পুনর্বিবেচনার বিষয়টি। আলোচনা সফল হলে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।