দেশের শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। শনিবার (২৪ মে) দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমে এসেছে ৪,৭৪৬ পয়েন্টে, যা গত প্রায় ৪ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট সূচকটি এত নিচে নেমেছিল।
করোনার ভয়াবহতার মধ্যে থাকা সময়কালীন সূচককে ছাপিয়ে এবারকার পতন বাজারে কার্যত আরেক দফা ‘মহামারি’ সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার ডিএসইএক্স ৩৮.০৬ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪৭৪৬.৪৫ পয়েন্টে। আগের দিন সূচক কমেছিল ১৬.০৭ পয়েন্ট। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ২৭৮ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৫৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৭৪টির (১৮.৬৪%), কমেছে ২৭১টির (৬৮.২৬%) এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫২টির (১৩.১০%)।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮১টি কোম্পানির মধ্যে ৫০টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১২.২৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ১৩,২৭৪ পয়েন্টে।
এর আগের কার্যদিবসে সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকার, এবং সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়েছিল।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অর্থনীতি, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং কাঙ্ক্ষিত নীতিগত সহায়তার অভাবের কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা চূড়ান্তভাবে হ্রাস পেয়েছে। বাজারে বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরে আনতে হলে সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।