ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের পরিকল্পিত হামলা ঠেকিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা অন্তত এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নেয়। তবে এই অভিযানে সফলতা নিশ্চিত করতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছিল।
কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ওই পরিকল্পনায় সমর্থন না দিয়ে তেহরানের সঙ্গে নতুন পারমাণবিক চুক্তির পক্ষে অবস্থান নেয়। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে হামলা থেকে বিরত থাকতে হয়।
খবরে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ছিল কৌশলগত—তারা চেয়েছিল, কূটনৈতিকভাবে ইরানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন পারমাণবিক চুক্তির আলোচনায়ও আগ্রহ দেখায় হোয়াইট হাউস।
এদিকে, ইরান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা আগামী সপ্তাহে রোমে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের দফা আলোচনা হয়েছিল ওমানে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখবে এবং বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তবে ২০১৮ সালে ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি বাতিল করে পুনরায় ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
এরপর থেকেই তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়াতে শুরু করে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে তারা চাইলে স্বল্প সময়ের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র তৈরির মতো উপকরণ প্রস্তুত করতে পারে।
বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার হুমকি—সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, আলজাজিরা
ক্ষুধায় ধুঁকছে গাজা, মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই—শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ জনের মৃত্যু
গ্রেফতারি আবেদন শুনেই লন্ডন ছাড়লেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
বাংলাদেশের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের
ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মানেনি হামাস
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না