বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগামী ১ জুন ২০২৫, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দিনব্যাপী ‘চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্মেলন’।
সম্মেলনের আয়োজন করছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এমন কোনো সম্মেলন যেখানে একটি দেশ থেকে এত বড় বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল একযোগে অংশ নিচ্ছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সম্মেলনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান।
তিনি লেখেন:
“বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে আগামী ১ জুন ২০২৫ তারিখে দিনব্যাপী ‘চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।”
সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে ১০০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠান—যাদের মধ্যে রয়েছে বিশ্বখ্যাত Fortune 500 তালিকাভুক্ত ৬-৭টি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এছাড়াও থাকছেন চীনের চারটি শীর্ষ চেম্বার অব কমার্স এর প্রতিনিধিরা।
চীন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও নিজেই এই বৃহৎ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশিক চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন:
“বাংলাদেশে এই প্রথম এক দেশ থেকে একসঙ্গে এত সংখ্যক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী সফরে আসছেন।”
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে চীনের বিনিয়োগ ক্রমেই বাড়ছে।
গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন (৭-১০ এপ্রিল ২০২5) এর ধারাবাহিকতায় এবার চীনকে কেন্দ্র করে এই আলাদা সম্মেলনটি আয়োজন করা হচ্ছে।
চীন ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে বিশেষত এক্সপ্রেসওয়ে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইকোনোমিক জোন, ও রেল প্রকল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। নতুন এই সম্মেলনের মাধ্যমে টেক্সটাইল, ইলেকট্রনিকস, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যৌথ বিনিয়োগের দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে থাকছে:
বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য বহুপাক্ষিক সহযোগিতা থেকে একক দেশের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ আকর্ষণের নতুন মাইলফলক।
বিশেষ করে এমন সময়ে যখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে, এই সম্মেলন বৈদেশিক আস্থার বার্তা দেবে।
চীনও তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)–এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে দেখে থাকে। ফলে এই সম্মেলন থেকে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সমঝোতা স্বাক্ষরের সম্ভাবনাও রয়েছে।