বাংলাদেশ সরকার ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বেশ কিছু পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস উইং এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।
এনবিআর জানায়, নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াজাত শুধু সুতা ও আলু আমদানি করা যাবে। ভারত থেকে আমদানিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যের তালিকায় রয়েছে—ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফেব্রিক্স।
তবে মূসক নিবন্ধিত বিড়ি উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল হিসেবে তামাক ডাঁটা আমদানি করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির টানাপোড়েন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের অন্যতম প্রেক্ষাপট। উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে গণঅভ্যুত্থানের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এই পটভূমিতে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে। ২০২০ সালে চালু হওয়া এই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ ভারতীয় বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারত। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ আর সেই সুবিধা পাবে না।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে আগের এসআরও নং ২৯৭-আইন/২০২৪/৮৯/কাস্টমস–এর কয়েকটি ধারা সংশোধন করা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকা হালনাগাদ করা হয়। তবে ‘সব রপ্তানিযোগ্য পণ্য’ আগের মতোই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের বিদ্যমান বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না