সেঞ্চুরির সুবাসটা প্রথম সেশন থেকেই পাচ্ছিলেন সাদমান ইসলাম। দ্বিতীয় সেশনে এসে পৌঁছে গেলেন কাঙ্ক্ষিত সেই ম্যাজিক্যাল মার্কে। দিনের প্রথম বল থেকে যেভাবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলেছেন, এগিয়েছেন সেভাবেই। তাতে ফলটাও পেলেন হাতেনাতে। অনবদ্য এক সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাহাতি এই ওপেনার, ২৬ ইনিংস পর।
আর তার শতকে ভর করে এখন রীতিমত বড় পুঁজির লক্ষ্যেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
সাদমান ইসলাম সিলেট টেস্টে আউট হয়েছিলেন যথাক্রমে ১২ ও ৪ রানে। ফলে তার বাদ পড়ার শঙ্কাও তৈরি হয়েছিল। শেষমেশ যখন টিকে গেলেন দলে, সেই সুযোগটা তিনি লুফে নিলেন দু’হাতে।
ইনিংসের শুরু থেকেই ধৈর্য্যের প্রতিমূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন ২২ গজে। বাংলাদেশের ইনিংসকে অ্যাংকর করছেন শুরু থেকেই। তবে খোলসে ঢোকেননি নিজেকে। জিম্বাবুয়ের প্রায়-নির্বিষ বোলিংয়ের সামনে তার প্রয়োজনও ছিল না। টেম্পারামেন্টের পরীক্ষাটা এখানেই ছিল। বাজে বলের সামনেই যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাজে শট খেলার প্রবণতা তৈরি হয়।
তবে সাদমান তা হতে দেননি। বাজে বলকে শ্রদ্ধা জানাননি, সপাটে বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে ফেলেছেন। ভালো বলকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
নিয়ন্ত্রণ হারানোর শঙ্কা অবশ্য একটা জায়গায় তৈরি হয়েছিল সাদমানের।অপর প্রান্তে তার সঙ্গী এনামুল হক বিজয়কে হারিয়েছেন দ্বিতীয় সেশনের শুরুর দিকেই। তবে এরপরও নিজের ধৈর্য্য হারাননি।
তারই ফল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরির ২৬ ইনিংস পর দ্বিতীয়টির দেখা পেলেন বাহাতি ব্যাটার। প্রথম সেঞ্চুরিটাও এসেছিল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। এদিন ১৬টি চারের মারে ও একটি মাত্র ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের শত রানের মার্কে পৌঁছান সাদমান।
সাদমানের এই ইনিংস বাংলাদেশকে প্রথম সেশনে এনে দিয়েছে দারুণ পুঁজি। ৩১ রানে তাকে সঙ্গ দিয়ে দলকে একটু একটু করে চালকের আসনে নিয়ে যাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক মোমিনুল হক।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৩ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ১৯৩ রান, ১ উইকেটের বিনিময়ে। যদিও এখনো আরও ৩৪ রান পিছিয়ে স্বাগতিকরা।