মার্চে সড়কে ঝরেছে শতাধিক প্রাণ, নিহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ

চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে সড়ক, রেল ও নৌপথে সংঘটিত ৬৪১টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৬৪ জন। এর মধ্যে কেবল সড়ক দুর্ঘটনাতেই নিহত হয়েছেন ৬১২ জন। আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ২৪৬ জন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্চ মাসে সড়কপথে ৫৯৩টি, রেলপথে ৪০টি এবং নৌপথে ৮টি দুর্ঘটনা ঘটে। রেল দুর্ঘটনায় ৩৪ জন ও নৌ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৮ জন।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সর্বোচ্চ প্রাণহানি

সড়ক দুর্ঘটনার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩৮ শতাংশের বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেল ব্যবহারে। মাসজুড়ে ২২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫১ জন, আহত হয়েছেন ২০৮ জন।

ঢাকা মহানগরীতেই মার্চে ঘটেছে ১৪৮টি সড়ক দুর্ঘটনা, যাতে নিহত হয়েছেন ১৫০ জন। অন্যদিকে, সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা রেকর্ড হয়েছে বরিশাল বিভাগে—৩১টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন।

মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ৩৪ দশমিক ২৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ৩৭ দশমিক ২৬ শতাংশ ফিডার সড়কে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করেই এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

দুর্ঘটনা রোধে সাত কারণ ও আট সুপারিশ

সংগঠনটি দুর্ঘটনার সাতটি মূল কারণ চিহ্নিত করে আটটি সুপারিশও করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

• বিআরটিএর কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা নির্ধারণ ও সংস্কার,
• ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করে নিরসন,
• সড়ক নিরাপত্তা অডিট চালু,
• এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক গঠন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতি থামাতে হলে সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।