পেহেলগাম হামলার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরজুড়ে ব্যাপক সেনা অভিযান শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। অভিযানের অংশ হিসেবে কাশ্মীরে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্বিচারে স্থানীয়দের আটক এবং বাড়িঘর গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। সন্দেহভাজনদের না পেয়ে তাদের স্বজনদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ অভিযানগুলোর মধ্যে পেহেলগাম হামলার সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তির বাড়িঘর বুলডোজার ও আইইডি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজনদের পরিবারের সদস্যদেরও আটক করেছে সেনাবাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, পেহেলগাম হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৯টি বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
অধিকারকর্মীরা বলছেন, এসব বাড়ি ভাঙার ঘটনা ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আদেশের সরাসরি লঙ্ঘন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো বাড়ি ভাঙার আগে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। অথচ কাশ্মীরে সন্দেহের ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণের আগেই বাড়িঘর ধ্বংস করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সম্মিলিত শাস্তির রূপ নিচ্ছে। শুধু সন্দেহের বশবর্তী হয়ে পরিবারের সদস্যদের বসবাসের স্থান ধ্বংস করা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে কাশ্মীরে জনগণের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় অধিকারকর্মী ও পর্যবেক্ষকরা।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের রোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা
উত্তরপ্রদেশে আগ্রাসন চলছে: মসজিদ-মাদ্রাসা টার্গেট করে উচ্ছেদ অভিযান
মাত্র ১৬ দিনে ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ১৮৪ হামলা: এপিসিআর রিপোর্ট
ধর্মীয় বৈষম্যের প্রশ্নে উত্তাল ভারত: মোদীর বিরুদ্ধে ২৮০ মসজিদ-স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ