মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের রায়ের বিরুদ্ধে দাখিল করা আপিলের শুনানির জন্য আগামী ৬ মে দিন নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, ৬ মে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং ওইদিন এটি কার্যতালিকার শীর্ষে থাকবে।
এর আগে, ২৬ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ আদালত এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির অনুমতি দেন। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়। আদালতের ইতিহাসে এটিই প্রথম ঘটনা যেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রিভিউ থেকে মূল আপিল শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
গত ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এরপর ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আপিল বিভাগ ওই রায় বহাল রাখে। পরে ২০২০ সালে তিনি রিভিউ আবেদন করেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর এ বছর ফেব্রুয়ারিতে সেই আবেদন গ্রহণ করে মূল আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে জামায়াত নেতা আজহারের বিরুদ্ধে ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণিত হয়, যার মধ্যে ছিল গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ। এতে ১২৫৬ জনকে হত্যা ও ১৭ জনকে অপহরণসহ অসংখ্য অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ উঠে আসে।
আজহারের পক্ষে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি তার খালাস চেয়ে ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরে ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিল এবং ২৩৪০ পৃষ্ঠার সম্পূরক আপিল দাখিল করেন তার আইনজীবীরা।
তবে জামায়াতে ইসলামী এই রায়কে বরাবরই "প্রহসনের রায়" বলে আখ্যা দিয়ে আসছে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আইন অনুযায়ী বিচার হয়েছে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতেই এই রায়।
এই আপিল শুনানিকে ঘিরে আইনি মহল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
সূত্র:কালবেলা
যশোরে ইবনে সিনা হাসপাতালের টয়লেটে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
উত্তরা, আগারগাঁও ও কচুক্ষেতে ‘জোরপূর্বক গুম’ তদন্তে নিশ্চিত আন্তর্জাতিক সংস্থা
আল-আকসা ভাঙার ছক কষছে ইসরায়েল? উঠে আসছে নতুন অভিযোগ
‘মার্চ ফর ইন্ডিয়ান মুসলিম’: প্রতিবেশী নির্যাতনে বাংলাদেশে নিন্দা-প্রতিবাদ
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না