কক্সবাজারের উখিয়ার মাছকারিয়া এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নেমে আসা প্লাস্টিক, পলিথিন ও বর্জ্যে ডুবে গেছে এক হাজার একর জমির পাকা ধান। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানির সঙ্গে বয়ে আসা এসব বর্জ্য জমি প্লাবিত করেছে, ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষক গফুর কোম্পানি জানান, "দুই হাজার একর জমিতে আমরা ধান চাষ করেছি। কিন্তু অর্ধেক জমিই এখন পানির নিচে। ধান তোলার আগেই সব শেষ হয়ে গেছে।"
এ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে সোমবার (২১ এপ্রিল) মাছকারিয়া এলাকা পরিদর্শন করেন উখিয়ার ইউএনও কামরুল হোসেন চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী ইবনে মায়াজ প্রামাণিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নেতৃবৃন্দ।
কৃষকদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গা শিবির থেকে নেমে আসা বর্জ্য তাদের জমিতে এসে জমে থাকে। এর ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয় এবং ফসল ধ্বংস হয়ে যায়। তারা জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় বিপুল বরাদ্দ এলেও স্থানীয় কৃষকদের জন্য প্রাপ্ত অর্থের সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।
উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেন, "প্রয়োজনে চীন থেকে উন্নত প্রযুক্তি এনে স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে কৃষকের এক ইঞ্চি জমিও আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।"
তার ছোট ভাই ও উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, "বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সামনের বর্ষায় আরো ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে। এখনই খাল খনন, ড্রেনেজ ও গাইডওয়াল নির্মাণ শুরু করতে হবে।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, “রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত রিফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রেপ্যাট্রিয়েশন কমিশনারের কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে। কৃষকদের যেন ভবিষ্যতে আর ক্ষতিগ্রস্ত না হতে হয়, সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সচেতন মহল ও জনপ্রতিনিধিরা কৃষকদের ক্ষতির পূরণ এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।
সূত্র:নয়া দিগন্ত
শহীদ আলিফ আহম্মেদ সিয়াম-এর কবর জিয়ারত করলেন বাগেরহাটের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত কর্মসূচি
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার
আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা - ধর্ম উপদেষ্টা