জনাব তারেক রহমান ,আপনার চারিদিকে শত্রু। দলের বড় বড় নেতারা শত্রু। বিভিন্ন বাহিনীতে শত্রু। প্রশাসনে বেশিরভাগ আপার মুরিদ। বর্তমান সরকারের সঙ্গে আপনার বড় নেতাদের অপ্রয়োজনীয় মতের অমিল, অসহযোগীতা, অপ্রয়োজনীয় হুমকি। আপনার দলে সবাই পদ আর ক্ষমতার পাগল, সবাই নিজেকে তারেক জিয়ার চেয়ে বড় মনে করে। সবাই আপনার সাথে বিশাল ভালবাসার অভিনয় করে একটা পদের জন্য, মন থেকে না। বিপদে পড়লে আপনার আগে ওরা সবাই নাই হয়ে যাবে। প্রতিটা মিটিংয়ে সভায়, সম্মেলনে, ইন্টারভিউতে আপনি লক্ষ করবেন, আপনার দলের বড় নেতাদের যেন আপনার নাম, আপনার বাবা মায়ের নাম নিতে কষ্ট হয়, আপনি ভিডিওগুলো দেখুন।
শেখ হাসিনার মুখে যতবার আপনাকে গালি দিতে শুনেছি, আপনার মাকে বাবাকে গালি দিতে শুনেছি, আপনার বড় নেতাদের মুখে ততবার আপনার নাম শুনিনি। আপনার সাথে ওরা যখন ভিডিও কনফারেন্স করে, সবকয়টার মুখ কালো হয়ে থাকে, এমন ছবিই মিডিয়াতে দেখি । আপনার এত নেতা কর্মী থাকতে শেখ হাসিনা আপনার মাকে ঘর থেকে বের করে ঘর ভেঙ্গে দিয়েছিল,কথাটা মনে রাখবেন । ওরা আমার শত্রু হয়ে গেছে , সমস্যা নেই , দেশের বিশাল একটা অংশ আমায় পছন্দ করে । জনাব তারেক রহমান, আপনাকে হতে হবে, একজন কঠোর নেতা।আপনার নিজস্ব গোয়েন্দা টিম থাকতে হবে, যারা সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদপত্র পর্যবেক্ষণ করবে। আপনার দলের কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে বা ক্ষমতার অপব্যবহার করলে, অন্য কোনো মাধ্যমে খবর আসার আগেই আপনাদের পক্ষ থেকে তা প্রচার করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে সামনে মহাবিপদ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।আপনি ক্ষমতায় আসছেন—আসছে বিএনপি।কিন্তু প্রশ্ন হলো: তারেক রহমান প্রস্তুত তো?ক্ষমতা পাওয়ার পর কী হবে?
তারেক রহমানের ভাগ্যে কী আছে?
আপনার দলের তরুণ শিক্ষিত মেধাবী নেতারা তো সামনেই আসতে পারে না , আপনার চোখে পরবে কি করে ? ওদের কোন সুযোগই দেয়া হয় না । ওরা লজ্জ্বায় ও ভয়ে নীরবে দূরে সরে যায় । একই দল , একই নেতা , একই কথা বছরের পর বছর । এর গাড়ীতে নিউ মডেলের পার্টস লাগালে কি গাড়ী আধুনিক হয়ে যাবে । বর্তমানে এগুতে হবে প্রযুক্তি নিয়ে , প্রযুক্তি দিয়ে , উনারা কয় জন আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত ? আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, বিএনপিতে যদি পরিবর্তন না আসে, তবে আমার প্রতিটি কথা সত্য প্রমাণিত হবে। দলের নীতি নির্ধারকরাই হয়ে উঠবে ধ্বংসের কারণ।বিএনপি হয়তো ক্ষমতায় আসবে।কিন্তু বর্তমান নেতারা নিজ এলাকায় স্থানীয় নেতাদের তৈরি করবে অনেকে তো অলরেডি নিজেদের নেতা বানিয়ে বসে আছেন।প্রত্যেকটি নেতা হয়ে উঠবে স্থানীয় একেকজন ‘ডন’। তাদের থাকবে নিজস্ব কর্মী, ক্যাডার বাহিনী; যারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত হবে।কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশ এলে তারা মানবে না। আর কেন্দ্র যখন জানতে পারবে, ব্যবস্থা নিতে নিতে সময় শেষ হয়ে যাবে।মিডিয়ায় বিএনপির অবস্থান ভালো না। কেন জানি না সব নিউজ পোর্টাল বিএনপির যেকোনো খবরকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করে। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভবিষ্যতেও মিডিয়া একই কাজ করবে।বর্তমানে মানুষ স্পষ্টভাবে বুঝে গেছে—ভবিষ্যতে কোনো দল যদি আওয়ামী লীগের মতো আচরণ করে, তাদের অবস্থাও একই হবে।জনগণ এখন যা পায়, তাই রেকর্ড করে প্রচার করে। এই প্রবণতা এখনই শুরু হয়ে গেছে। ভবিষ্যতের চিত্র কল্পনা করুন।
একবার ভাবুন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন লীগ তাদের কত ক্ষমতা ছিল! টাকা, অস্ত্র, কর্মী, এমনকি আর্মি-পুলিশও ছিল তাদের পক্ষে।তবু জনতার রোষে সব ধুয়ে গেছে।ভবিষ্যতের রাজনীতি হবে অনেক বেশি কঠিন, বিশেষ করে বাংলাদেশে।কারণ এখানে জনগণের চেয়ে নেতা বেশি।রাজনীতি এখন শুধু টাকার খেলা।সবাই চায় ক্ষমতা, পোস্ট—নিজের জন্য, দলের জন্য আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে পুলিশ বা আর্মি এখন আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতিতে জড়াতে চায় না।সম্প্রতি পুলিশের যে দুর্দশা হলো, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।তবুও যদি তাদের শিক্ষা না হয়, ভবিষ্যতে দেশে পুলিশ হয়তো থাকবে না।সাতান্ন জন অফিসার হারিয়ে, একদলীয় হয়ে কাজ করে দেশের সেনাবাহিনীর গ্রহণযোগ্যতা আন্তর্জাতিক মহলে প্রায় শূন্যে এসে ঠেকেছে। আন্তর্জাতিকভাবে পুলিশ, আর্মি, র্যাব—সবাই কমবেশি ‘ব্ল্যাকলিস্টেড’। তাই ভবিষ্যতে তারা নেতাদের অনৈতিক কাজকে সমর্থন দেবে এ সম্ভাবনা একেবারেই নেই।আর্মির জুনিয়র অফিসাররাও এসব সমর্থন করে না শুধু পরিস্থিতির কারণে চুপ করে আছে।এইভাবে চলতে থাকলে সামনে বড় বিপদ।বিএনপির অভিজ্ঞ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছিলেন “আজ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাচ্ছেন, কাল যদি বিএনপি নিষিদ্ধ চায়, তখন কী হবে? জনাব গয়েশ্বর রায়, এই কথাটা কি আপনি ভেবেচিন্তে বলেছেন?বর্তমানে দেশে আপনাদের চেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আর নেই।কে আপনাদের নিষিদ্ধ চাইবে, কেন চাইবে?আপনারা কি আওয়ামী লীগের মতো অপরাধে জড়িত? যদি না হয়ে থাকেন, তাহলে এত ভয় নিয়ে দেশ চালাবেন কীভাবে?
হাসনাতের দলে কয়জন লোক আছে?
এই হাসনাত যদি একটা দাবিতে রাস্তায় নামে, পুরো দেশ কাঁপে।যেদিন শেখ হাসিনা ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে বাসা থেকে বের করে দিলেন, সেদিন যদি আপনাদের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতেন, তাহলে কি হাসিনা পারতেন এই কাজ করতে?সাহস ছাড়া রাজনীতি হয় না।আমি হলে দলের সবাইকে নিয়ে সেদিন খালেদা জিয়ার বাসার সামনে শুয়ে থাকতাম।সারা দেশের রাস্তা , অফিস স্কুল কলেজ বন্ধ করে দেশ অচল করে দিতাম।কিন্তু সেদিন আপনারা কী করলেন? বড় বড় নেতারা কোথায় ছিলেন? এক হাসনাত একা সেনাবাহিনীর প্রধানকে হুমকি দেয় , এটা করতে কলিজা লাগে , দেশকে ভালবাসতে হয় , নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হয় ।সেদিন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেশের অনেক মানুষ কেঁদেছিল।
আপনারা কাঁদেননি কম্প্রোমাইজ করেছেন। আপনারা সেদিন মাঠে নামলে, সেদিনই হাসিনার পতন হত যেদিন ২০১৩ সালের ৫ মে খালেদা জিয়া ঢাকাবাসীকে রাস্তায় নেমে আসতে বলেছিল ম্যাডামের কথা কিন্তু কেউ শুনে নাই আর শেখ হাসিনা বুঝে গেল কর্মীরা খালেদা জিয়ার কথা শুনছেনা তার কিছু দিন পরে মার্চ ফর ডেমক্রেসি ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর ডাক দেওয়া হল জামায়াত শিবির সারাদেশ থেকে লোক এনে ঢাকায় জড় করল আর মির্জা আব্বাস ঢাকার দায়িত্বে সে টিভি নিয়ে বসে থাকল যে জামায়াত শিবির পুলিশের সাথে লডাই করে মরে হাসিনার পতন ঘটিয়ে বিএনপি কে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে একটা লোক ও বিএনপির রাস্তায় নামল না জামায়াত শিবিরের লোক মরল আর গ্রেফতার হল কিন্তু মির্জা আব্বাসের ব্যাংকের কোন ক্ষতি হলনা ১৬ বছরে ও এই গুলা আপনাকে জানতে হবে কোন অদৃশ্য কারনে মির্জা ফকরুল এর ২৯০০ কোটি টাকার লোন রি শিডিউল হল আপনাকে ও জাতিকে জানতে হবে আপনি যদি ভাবেন র আপনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে তারা তাদের সার্থের বাইরে কি কিছু করবে আপনি কি তাই মনে করেন ।আপনাদের দলে একটা হাসনাত ছিল না সেদিন , আর আজ হাসনাতকে আপনারা দলেও নেবেন না , কারণ সে বীর , আপনারা এই সাহস আপনারা দেখাতে পারেননি। আজ তারেক রহমান যদি আপনাদের জিজ্ঞেস করেন তাহলে আপনারা দল ছেড়ে হয় তৃণমূল বিএনপি গড়বেন, নয়তো জাতীয় পার্টিতে পরিণত হবেন।তারেক রহমানের পেছনে লাগবেন সবাই ।তারেক রহমান আপনাদের নিয়ে আছেন এক মহা সঙ্কটে ।বিএনপির মাইগ্রেটেড নেতা ফজলুর রহমান স্যার বলেছেন “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে না। তারা আকাশের সূর্যের মতো তারা আবার ফিরে আসবে।এই ফজলুর রহমান বিএনপিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি।তারেক রহমান সব জানেন, বোঝেন কিন্তু উপায় নেই, আপনাদের কাছে তিনি অসহায়।তিনি কী অনুমতি নিয়ে এই কথা বলেন?আপনাদের দলে কি মা-বাবা নেই ।জামায়াত-শিবির থেকে শিখুন তাদের এক নেতা, এক বক্তব্য, এক অবস্থান।আপনাদের দলের নেতারা মাইক পেলে কে বেশি বলবে সেই প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন।দলের ভাবমূর্তি যায় কোথায় তা নিয়ে ভাবেন না।সবার লক্ষ্য, “ভাইরাল হতে হবে “লন্ডন থেকে স্যার দেখবেন”, “ক্ষমতায় এলে মন্ত্রী হবো। আপনার নিজস্ব গোয়েন্দা বাহিনী থাকতে হবে যারা সারাদিন তথ্য বিশ্লেষণ করবে, দলীয় কর্মীদের ওপর নজর রাখবে।যে-দুর্নীতিতে জড়াবে, আপনারা আগে থেকে প্রচার করে কঠোর শাস্তি দেবেন।তা না হলে মহাবিপদ অনিবার্য।
আপনি বলেছেন যারা অন্যায় করে, তাদের যেন পুলিশ ধরে।কিন্তু সমস্যা হলো—ততক্ষণে মিডিয়ায় খবর হয়ে যায় যে “বিএনপির নেতা এই করেছে! তাকে জেলে পাঠালেই কি বিএনপির ভাবমূর্তি ফেরত আসবে?আপনার জন্য কাজটা কঠিন হবে।কিন্তু নিয়ন্ত্রণ না করলে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে। ১৭ বছর পর আপনি ক্ষমতায় এসে চেষ্টা করবেন মায়ের ও বাবার সুনাম রক্ষা করতে আর দলের অন্যরা তখন ইতোমধ্যেই ক্ষমতা উপভোগ শুরু করে দেবে।মীরজাফরদের ভয় পেয়ে দলে রেখে কোনো লাভ নেই।তারা কি আপনার বা দেশের জন্য কাজ করবে?কখনোই না।
আপনার প্রয়োজন কিছু সৎ, সাহসী, তরুণ নেতা যারা দেশের প্রয়োজনে নিজের জীবন দিতে ও এক সেকেন্ড দেরি করবে না।
এস এম আরাফাত হোসাইন
রাজনীতিবিদ ও লেখক
নিন্দার কাঁটা ও আদর্শবাদী এক্টিভিজম - ওয়াজ কুরুনী সিদ্দিকী
কা'বা দর্শণ আল্লাহর এক নিয়ামত : অধ্যাপক আবুল খায়ের নাঈমুদ্দীন
যাকাত ও সাদাকা : দারিদ্র্য বিমোচনের মানবিক সমাধান
যাকাতের মাধ্যমেই দেশ হতে পারে স্বনির্ভর - আবুল খায়ের নাঈমুদ্দীন