কুয়েটের অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সংহতি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা ‘এক দুই তিন চার, ভিসি মাসুদের পদত্যাগ’, ‘আমার ভাই অনশনে, ইনটেরিম কী করে’, ‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘কুয়েটের সংগ্রাম, চলছে চলবে’ ও ‘মাসুদ তুই কবে যাবি’ ইত্যাদি স্লোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত করে তোলেন।
শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, “কুয়েটে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের অকুণ্ঠ সংহতি রয়েছে। অনশন শুরুর ৪২ ঘণ্টা পার হলেও এখনো পর্যন্ত প্রশাসন বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দায়িত্বশীল প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় শিক্ষার্থীরা যখন বহিরাগতদের হামলার বিচার চাইছিল, তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উল্টো শিক্ষার্থীদেরই বহিষ্কার করে এবং মামলা দেয়। এটি প্রশাসনের দমনমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।”
প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল কুয়েটের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে আগামী ২ মে আবাসিক হল খোলা এবং ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়, যাতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
সংগৃহিত নিউজ
ডাকসু নির্বাচনের দাবি জোরালো, সময় হিসেবে শিক্ষার্থীদের পছন্দ জুন
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, হল খুলছে ২ মে
শিক্ষা উপদেষ্টার অনুরোধেও অনশন থেকে সরেনি শিক্ষার্থীরা
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না