খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাময়িক বহিষ্কৃত ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আবাসিক হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কুয়েটের জনসংযোগ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হন। পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ একাডেমিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। ওই দিন বিকেলে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় আবাসিক হলগুলো।
হল খোলার দাবিতে ১৩ এপ্রিল থেকে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ১৪ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। একইসঙ্গে জানানো হয়, আগামী ২ মে আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে এবং ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে।
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে ফেরার পথ সুগম হলো। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত শিক্ষাঙ্গনে স্বস্তি ফিরে আনবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডাকসু নির্বাচনের দাবি জোরালো, সময় হিসেবে শিক্ষার্থীদের পছন্দ জুন
‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’—স্লোগানে মুখর জাবি ক্যাম্পাস
শিক্ষা উপদেষ্টার অনুরোধেও অনশন থেকে সরেনি শিক্ষার্থীরা
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না