খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরারের অনুরোধ সত্ত্বেও উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া অনশন ভাঙবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপদেষ্টা ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ আলোচনার পরও শিক্ষার্থীরা অনড় অবস্থান বজায় রাখে।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, "মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা দ্রুত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করবে। তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা আদালতে টেকে না।"
তবে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, “আমরা দুই মাস ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো আমলে নেওয়া হয়নি। এখন আর সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা লাশ হলেও ভিসির পদত্যাগ ছাড়া অনশন ছাড়ব না।”
আলোচনার পর উপদেষ্টা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার এবং জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যাতে আহত হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। পরদিন থেকে প্রশাসনিক ভবনসহ অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝোলানো হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনকে 'লাল কার্ড' দেখিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে।
২৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ ১৩ এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীরা একদফা—ভিসির পদত্যাগ—দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং ২১ এপ্রিল থেকে তারা আমরণ অনশনে বসেছে।
সংগৃহিত প্রতিবেদন
ডাকসু নির্বাচনের দাবি জোরালো, সময় হিসেবে শিক্ষার্থীদের পছন্দ জুন
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, হল খুলছে ২ মে
‘দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’—স্লোগানে মুখর জাবি ক্যাম্পাস
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা
মন্তব্য করুন
আপনার ইমেল প্রকাশ করা হবে না